Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আজ শপথ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

যুক্তরাজ্যে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি ৯২ হাজার ১৫৩ (৬৬ শতাংশ) ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্ব›দ্বী জেরেমি হান্ট পান ৪৬ হাজার ৬৫৬ ভোট। দলের ১ লাখ ৫৯ হাজার ৩২০ জন সদস্যের মধ্যে ৮৭.৪ শতাংশ ভোটদান করেন।

দেশটির সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষনেতাই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সেই নিয়ম অনুযায়ী আজ (বুধবার) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেবেন বরিস জনসন। মঙ্গলবার শেষ দিনের মতো পূর্ণ কর্মদিবস দায়িত্ব পালন করেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।

ব্রেক্সিট ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়ে মে মাসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ৭ জুন যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দলের নেতার পদ থেকে থেরেসার সরে দাঁড়ানোর পর নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করে রক্ষণশীল দল। গত ১৩ জুন থেকে শুরু চার দফার ভোটের প্রায় সবক’টিতেই এগিয়ে ছিলেন বরিস জনসন।

নির্বাচিত হয়ে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এবং তার মূল প্রতিদ্ব›দ্বী জেরেমি হান্টের প্রতি সম্মান জানিয়েছেন বরিস জনসন। তিনি বলেন, জেরেমির দারুণ কিছু পরিকল্পনা আছে। সেগুলো নিয়ে নিজেও কাজ করতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মেকেও তাদের দেশের প্রতি অবদানের জন্য সম্মান জানান।
ইতোমধ্যে বরিস জনসনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন থেরেসা মে। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘কনজারভেটিভদের নেতা নির্বাচিত হওয়ায় বরিস জনসনকে অনেক অভিনন্দন। এখন আমাদের সবাইকে মিলে ব্রেক্সিট ইস্যুতে এমনভাবে কাজ করতে হবে, যেন তা সর্বোচ্চ ফলপ্রসূ হয়। আর জেরেমি করবিনকে এসব প্রক্রিয়ার বাইরে রাখতে হবে। আপনার সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন আছে আমার।’
সমালোচকরা তাকে ব্রিটেনের ট্রাম্প হিসেবে অভিহিত করে থাকেন। নির্বাচনের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বরিস জনসনকে প্রকাশ্যে সমর্থন দেয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।

ব্রেক্সিটে নিয়ে অচলাবস্থার সময় বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। থেরেসা মে সঙ্কট সমাধানে ব্যর্থ হওয়ার পর দায়িত্ব এখন তার কাঁধে। সেটি পালনে তিনি কতটা সাফল্য দেখাতে পারেন তাই এখন দেখার বিষয়। বরিস জনসন হওয়ায় তার নীতির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন এমন ব্রিটিশ মন্ত্রীরা পদত্যাগ করবেন। এদের মধ্যে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী। সূত্র : বিবিসি, গার্ডিয়ান।



 

Show all comments
  • Burhan Munna ২৪ জুলাই, ২০১৯, ২:১১ এএম says : 0
    আরেক পাগল আসছে! আল্লাহ জানে এবার কি হবে!
    Total Reply(0) Reply
  • Tufayel Ahmed ২৪ জুলাই, ২০১৯, ২:১১ এএম says : 0
    দ্বিতীয় ট্রাম্প
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২৪ জুলাই, ২০১৯, ২:১২ এএম says : 0
    পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময়ে তিনি বিশ্বাসীদের ব্যপক বিনোদন উপহার দিয়েছিলেন। এবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে নিশ্চয়ই নুতন করে কূটনৈতিক রীতিনীতি রচনা করবেন। জনপ্রিয়তা আর যোগ্যতা যে এক নয় এঁরাও তা বুঝলো কোথায়!!
    Total Reply(0) Reply
  • Nurur Rahman ২৪ জুলাই, ২০১৯, ২:১৩ এএম says : 0
    নেতৃত্বের জন্য বরিস জনসনই হবেন ‘চমৎকার’ ব্যক্তিত্ব------ ট্রাম্প ও বরিস দুজনেই চমৎকার।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ