Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাংলাদেশ হতে পারে সউদী ব্যবসায়ীদের ‘সেকেন্ড হোম’: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রিয়াদে বাংলাদেশ চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উদ্বোধন

ক্ষুদ্রঋণে বাংলাদেশের সাফল্য অনুকরণ করতে চায় ওআইসি
আইডিবিকে সুদ হার কমানোর আহ্বান
নির্মাণশিল্পে দক্ষ জনশক্তি সরবরাহে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

কূটনৈতিক সংবাদদাতা
সউদী আরবের ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশ ‘সেকেন্ড হোম’ হতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি সউদী ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। গতকাল সকালে জেদ্দা চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (জেসিসিআই) নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। কৃষিভিত্তিক রাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ এখন যন্ত্রনির্ভর, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বৈচিত্র্য এবং মূল্য সংযোজনের দেশে পরিণত হচ্ছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তৈরি পোশাক খাতে দেশের ব্যাপক অগ্রগতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাতে (আরএমজি) অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে এবং আমরা এখন বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। এই শিল্পে বর্তমানে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন, যাঁর মধ্যে ৯০ শতাংশই নারী।
বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় ‘সবচেয়ে উদার’ বিনিয়োগ নীতির দেশ উল্লেখ করে উদীয়মান শিল্প খাত বস্ত্র, চামড়া শিল্প, পাট, সিরামিক, পেট্রো-কেমিক্যাল, ফার্মাসিউটিক্যালস, শিপ বিল্ডিং, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্লাস্টিক পণ্য, হালকা প্রকৌশল ও ইলেকট্রনিকস, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও সমুদ্র সম্পদসহ বিভিন্ন খাতে সউদী ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আইন করে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা প্রদান, ট্যাক্স হলিডে, যন্ত্রপাতি আমদানিতে কর রেয়াত, অনিয়ন্ত্রিত প্রত্যাহার নীতি এবং লভ্যাংশ ও পুঁজি দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
এসময় বাংলাদেশে তরুণ, পরিশ্রমী এবং তুলনামূলক স্বল্প বেতনে প্রশিক্ষিত জনশক্তি পাওয়া, স্বল্প খরচে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারত, জাপান ও নিউজিল্যান্ডের বাজারে পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশ সুবিধাসহ বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে দেশের বিভিন্নস্থানে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পের জন্য একাধিক হাইটেক পার্ক নির্মাণ এবং এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ-এর বিষয়ে জানানো হয় ব্যবসায়ীদের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক খাতের মতোই ফার্মাসিউটিক্যালস, তথ্যপ্রযুক্তি এবং জাহাজ নির্মাণশিল্পেও আমাদের প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আমাদের ওষুধ শিল্প দেশের শতকরা ৯৭ ভাগ অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের ৯২টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গার্টেনারের মতে, সফটওয়্যার ও আইটি সার্ভিসের জন্য বিশ্বের ৩০টি শীর্ষস্থানীয় দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশের তৈরি হাজারও সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন এখন আইফোন, স্যামসাং গ্যালাক্সি এবং ব্লাকবেরি ফোনে ব্যবহৃত হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, গত বছর আমাদের আইটি কোম্পানিগুলো এবং ফ্রিল্যান্স আইটি পেশাজীবীরা ৩৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছেন। প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজার আইটি গ্রাজুয়েট এই খাতে যোগ দিচ্ছেন। আমাদের নির্মাতারা বিশ্বমানের হালকা ও মাঝারি সামুদ্রিক জাহাজ নির্মাণ করে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এই শিল্পের ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আন্তর্জাতিক বাজারের এক শতাংশ শেয়ার এখন বাংলাদেশের দখলে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে নেয়ার পরে আমাদের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ২ শতাংশের উপরে, রফতানি আয় বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। রেমিটেন্স দ্বিগুণ হয়ে এখন ১৫ বিলিয়ন ডলার এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৯ বিলিয়ন ডলার বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ এবং সউদী আরবের মধ্যকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ ও সউদী আরবের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিদ্যমান। এই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে একই ধর্মীয় বিশ্বাস, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ এবং পরস্পরের প্রতি আস্থার ওপর ভিত্তি করে। সপ্তম শতকে আরব ব্যবসায়ীরা যখন প্রথম বাংলাদেশের বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আসেন, তখন থেকেই এই বাণিজ্য সম্পর্কের সূচনা।
এ সময় জেসিসিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান মাজেন এম ব্যাটারজি তাঁর বক্তৃতায় দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সউদী আরবের ভিশন ২০৩০-এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের বোঝাপড়া আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন জেসিসিআইর ভাইস চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বর্তমান ব্যবসার যে আকার, এটা যথেষ্ট না। এটা বাড়াতে হবে। এজন্য দুই দেশের ব্যবসায়ীদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে, সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। বিনিয়োগের সম্ভবনা খুঁজে দেখতে জেদ্দা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (জেসিসিআই) থেকে ব্যবসায়ীদের একটা টিম গঠন করে বাংলাদেশে পাঠানোর কথা বলেন তিনি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান, এফবিসিসিআইর সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় নির্মাণশিল্পে প্রকৌশলী, স্থাপত্যবিদসহ দক্ষ জনশক্তি সরবরাহে বৈঠকে সউদী আরবের বাওয়ানি গ্রুপ এবং বাংলাদেশের সেনাকল্যাণ সংস্থার মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ এবং বাওয়ানি গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক ফখীর আল সাওয়াফ উভয় পক্ষের পক্ষে স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
বাংলাদেশের সাফল্য অনুকরণ করতে চায় ওআইসি
শনিবার ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা-ওআইসির মহাসচিব ইয়াদ বিন আমিন মাদানির সঙ্গে বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রীর। সেখানে নারীর ক্ষমতায়ন, এনজিও সেক্টর ও ক্ষুদ্রঋণে বাংলাদেশের সাফল্য অন্য মুসলিম দেশগুলোতে কার্যকর করতে বাংলাদেশের সহযোগিতা চান ওআইসির মহাসচিব। জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব পাঠালে এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওআইসি মহাসচিবকে তাঁর সরকারের ‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ প্রকল্পের কথা বলেন।
বৈঠকে ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে আমিন মাদানি বলেন, ওআইসি রামাল্লায় একটি অফিস খুলতে যাচ্ছে। বাংলাদেশসহ ওআইসির সদস্যরা ওই অফিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ পর্যায়ে শেখ হাসিনা বলেন, উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি পাঠাবে।
আইডিবিকে সুদ হার কমাতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
গত শনিবার রাতে ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আহমেদ তিকতিক সৌজন্য সাক্ষাত করতে এলে তাকে ঋণের সুদের হার কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জেদ্দা কনফারেন্স সেন্টারে এ সাক্ষাতের পর পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান।
পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, আইডিবি ‘ইসলামিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যাংক’ করার জন্য একটি বড় উদ্যোগ নিচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে বড় বড় প্রকল্পে অর্থায়ন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী এই উদ্যোগে অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আইডিবির অর্থায়নের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ, গৃহায়ণ এবং সড়ক প্রকল্পগুলো গুরুত্ব পাবে বলে জানান তিনি।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বিভিন্ন দেশে আইডিবির পাঁচটি অফিস হবে, তার মধ্যে একটি হবে বাংলাদেশে। বাংলাদেশে এ বছরের শেষ নাগাদ আইডিবির অফিস ওপেন হবে। এটা হবে কান্ট্রি গেইটওয়ে অফিস।
কিং আবদুল্লাহ ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যান্ড চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনের ফায়েল খায়ের কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশে ১৭৩টি ‘সাইক্লোন সেন্টার কাম স্কুল’ নির্মাণ প্রকল্পের কথা বৈঠকে তুলে ধরেন আইডিবির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। তাকে উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ওই প্রকল্পে ১৩ কোটি ডলার দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৯০টি সেন্টারের কাজও শেষ হয়েছে। আগামী বছর আইডিবি বাংলাদেশে ১০টি মোবাইল ক্লিনিক করবে। এতে গ্রাম ও দুর্গম এলাকার মানুষ স্বাস্থ্য সেবা পাবে। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা, ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী ও মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রিয়াদে বাংলাদেশ চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উদ্বোধন
গত শনিবার রাতে জেদ্দার রয়্যাল কনফারেন্স প্যালেস থেকে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে রিয়াদে বাংলাদেশের দূতাবাস (চ্যান্সেরি) ভবন ও রাষ্ট্রদূতের বাসভবনের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, বিদেশের মাটিতে এমন একটি ভবনের অবস্থান একটি স্বাধীন দেশের চিহ্ন বহন করে। তিনি আরো বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশেই বাংলাদেশ সরকার ধারাবাহিকভাবে নিজস্ব দূতাবাস ভবন নির্মাণ করবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের সুবিধার্থে জেদ্দায় বাংলাদেশের নিজস্ব কনস্যুলেট ভবন নির্মাণের ঘোষণাও দেন তিনি। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ শহীদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও সউদী আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ উপস্থিত ছিলেন।
প্রবাসী বাংলাদেশীরা সউদী আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালীকরণে বিশাল ভূমিকা রাখছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, কাজেই এই প্রবাসীদের সুবিধা-অসুবিধা দেখা সরকারের দায়িত্ব। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ মিশনে কর্মরত রাষ্ট্রদূতদের ভালোভাবে প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বার্থ দেখার নির্দেশ দেন।
যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান এবং জাপানে নিজস্ব চ্যান্সেরি ভবন উদ্বোধনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর অস্ট্রেলিয়াতেও এই ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল। অথচ পরবর্তী সরকার সেখানে ভবন নির্মাণে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ সেখানে ভবন নির্মাণের জমির প্রায় অর্ধেকটাই হারিয়ে ফেলেছে।
বিশ্বে বাংলাদেশ আজ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলার চোখে দেখে না। এদিকে আজ সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী জেদ্দা থেকে বিমানে মদিনায় যাবেন এবং সেখানে মদিনা হিলটন হোটেলে অবস্থান করবেন বলে কথা রয়েছে। সেখানে তিনি মসজিদে নববীতে আসর এবং মাগরিবের নামাজ আদায় করে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন। মদিনার প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন আব্দুল আজিজ বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার সউদী সময় সকাল সাড়ে ১০টায় দেশের উদ্দেশে মদিনা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনি এবং তার সফর সঙ্গীদের ঢাকা ফেরার কথা।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৯ সালে তৎকালীন সউদী বাদশাহ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজের আমন্ত্রণে সউদী আরব সফর করেন শেখ হাসিনা। ২০১৩ সালের নভেম্বরেও ওমরাহ পালনের উদ্দেশে আরও একবার দেশটিতে যান তিনি। তবে বর্তমান সউদী বাদশাহ সালমান দায়িত্ব নেয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যের এই তেলসমৃদ্ধ দেশে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এটাই প্রথম সফর।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ হতে পারে সউদী ব্যবসায়ীদের ‘সেকেন্ড হোম’: প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ