পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বাজেটে জুয়েলারি খাতে নতুন করে ভ্যাট আরোপ না হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের দোকান বন্ধের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি। কর্মসূচি প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বলেন, আমরা আশঙ্কা করছিলাম সরকার ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বাজেটে জুয়েলারি খাতে মোট বিক্রয়ের উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করতে পারে। যেহেতু সরকার নতুন করে ভ্যাট আর বাড়ায়নি তাই আমরা দেশের স্বার্থে আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি। গত ৩১ মে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে ৪ জুন থেকে দেশের সব জুয়েলারি দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল। যদিও সমিতি তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। সংবাদ সম্মেলনে জুয়েলারি সমিতির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছিলেন, গত ৪ জুন এনবিআর এসআরও নং- ১২৩-আইন/২০১৫/৭২৯-মূসক আদেশের মাধ্যমে মূল্য সংযোজনের নির্ধারিত হারের ভিত্তি বিক্রয় বাবদ প্রাপ্ত সমুদয় অর্থের শতকরা তেত্রিশ দশমিক তিন তিন ভাগ এবং নীট মূল্য সংযোজন করের হার ৩ শতাংশের স্থলে ৫ শতাংশ ধার্য করেছে। বিগত ৫-৬ বছর স্বর্ণ ও রৌপ্যের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক মন্দার ফলে জুয়েলারি ব্যবসায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ক্রেতা সাধারণ মূল্য বৃদ্ধির ফলে অলংকার কেনার পরিমাণ অনেক কমিয়ে দিয়েছে। তার উপর নতুন করে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ হলে জুয়েলারি সমিতি মেনে নেবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।