পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
তথ্য বিভ্রাটের সুযোগ নিয়ে দেশে অবাধে সোডিয়াম সালফেট আমদানি হচ্ছে। বাজার হারিয়ে দেড় শতাধিত লবণ মিল বন্ধ হয়ে গেছে। বেকার হয়ে পড়ছে লবণ শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীরা। সঙ্কট উত্তরণে বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন শিল্পমালিকরা।
রোববার (২২ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে এ উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ লবণ মালিক সমিতি। ‘বিসিক’র তথ্য বিভ্রাট ও লবণ মিশ্রিত সোডিয়াম সালফেট আমদানি বন্ধকরণ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি নুরুল কবির লিখিত বক্তব্য পাঠ করে লবণ শিল্পের দূরাবস্থার কথা জানান।
একই সঙ্গে দেশীয় শিল্পের স্বার্থ রক্ষা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় লবণের নামে বিষাক্ত সোডিয়াম সালফেট আমদানি বন্ধের দাবি জানানো হয়। আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণে দেশে পর্যাপ্ত লবণের মজুদ রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি। ৪টি দাবি তুলে ধরে নুরুল কবির জানান, কোনোভামেই লবণের দাম বাড়ার শঙ্কা নেই। ৭৫ কেজি লবণের বস্তা ৭০০ টাকার ওপরে উঠবে না। লবণের নামে বিষাক্ত সোডিয়াম সালফেট আমদানিকারকদের সুবিধা দেয়া সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মুখোশ উন্মোচনের সময় এসেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নুরুল কবির বলেন, চাহিদা, উৎপাদন ও ঘাটতি নিয়ে মনগড়া তথ্য দিয়ে লবণমিশ্রিত সোডিয়াম সালফেট খেতে বাধ্য করা হচ্ছে সবাইকে। এই আমদানির কারণে লবণ কারখানাগুলো একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। চাষীদের লবণ অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশীয় লবণ চাষী ও মিল মালিকদের রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংগঠনের দাবিগুলো হলো-উৎপাদন ও চাহিদার সঠিক তথ্য নিরূপণ, সোডিয়াম সালফেটের বাণিজ্যিক আমদানি নিষিদ্ধকরণ, লবণ মিল মালিকদের ইস্যুকৃত বন্ড লাইসেন্স বাতিল ও নতুনভাবে কোনো বন্ড লাইসেন্স না দেয়া ও দেশীয় লবণ মিল ও চাষীদের রক্ষায় দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা দেশীয় লবণ বাজারজাত করতে পারছি না। দেশীয় লবণ মিলগেটে সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১১ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর বাজারে ১৮ থেকে সর্বোচ্চ ২২ টাকা। এটা আয়োডিন যুক্ত। অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে সংগঠনটির সভাপতি নুরুল কবির আরও বলেন, চামড়া ব্যবসায়ীরা কেন বলে ঈদের সময় লবণের দাম বেড়ে যায়, এটা আমি জানি না। আমার মনে হয় বাংলাদেশে এর চেয়ে সস্তা এবং কমদামে আর কোনো পণ্য নেই। বাজারে গেলে এককেজি শাক কিনতেও ৫০ টাকা লাগে। চামড়া ব্যবসায়ীদের বলেন কেজিপ্রতি ১০ টাকার মধ্যে তারা লবণ পাবেন। যদি না পায় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলবেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, গত ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন বিসিক বলেছিল, লবণ আমদানির প্রয়োজন নেই। কিন্তু লবণ মিল মালিকরা বলেছিল ঘাটতি আছে। ওই বছর সরকার উপলন্ধি করে ঘাটতি মোকাবেলায় ২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন লবণ আমদানি করে। একইভাবে ২০১৭ সালে বিসিবক বলেছিল লবণের ঘাটতি ২ লাখ ১২ হাজার টন। কিন্তু সেই বছরও ঘাটতি মোকাবেলায় ৫ লাখ টন লবণ আমদানি করতে হয়েছিল। গত ২০১৮ সালেও লবণ উৎপাদন মৌসুম শেষ হলেও বিসিক ঘোষণা দেয় যে, লবণের চাহিদা ও উৎপাদনের ঘাটতি আছে। কিন্তু হঠাৎ কেন, কি কারণে বিসিক বলেদিল লবণের ঘাটতি নেই। এটাই হলো বিসিকের ষড়যন্ত্রের প্রথম ধাপ। আমরা তথ্য বিভ্রাটের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছি, লবনের বার্ষিক চাহিদা ২৪ লাখ টন সেখানে বিসিক বলছে চাহিদা মাত্র ১৮ লাখ ৪৯ হাজার টন। তবে লবণ সংক্রান্ত বিগত ৫টি সভায় সকলে একমত কস্টিক সোডা বন্ডেড লবণ ব্যতিত দেশে ২২ লাখ ২৭ হাজার টন লবণের চাহিদা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।