পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশের রপ্তানি খাত নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। ইউরোপিয়ন ইউনিয়নে পণ্য রপ্তানি করে জিএসপি সুবিধা পেতে এখন থেকে রপ্তানি কারকরাই স্টেটমেন্ট অফ অরিজিন সার্টিফিকেট ইস্যু করবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এতোদিন এ সার্টিফিকেট ইস্যু করতো। রপ্তানি কারকদের সময় ও খরচ বাচাতে এ পদ্ধতি চালু করা হলো। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার চাহিদা মোতাবেক রপ্তানি বাণিজ্য সহজ করতেই এ পদ্ধতি চালু করা হলো।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইলেক্ট্রনিক রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম (রেক্স) চালুর ফলে রপ্তানি কারকরা নিজ দায়িত্বে এ সার্টিফিকেট ইস্যু করবে। এ ক্ষেত্রে সকল দায় ও দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারককেই বহন করতে হবে। তবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো প্রয়োজনীয় তদারকির কাজ করবে। ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশ ইউরোপিয়ন ইউয়িয়ন থেকে ‘এভ্রিথিংস বাট আর্মস স্কীমের’ আওতায় বাংলাদেশ এলডিসি ভুক্ত দেশ হিসেবে এ জিএসপি সুবিধা ভোগ করে আসছে। রেক্স চালুর ফলে অতি অল্প সময়ে নিজ দায়িত্বে রপ্তানি কারকগণ ইউরোপিয়ন ইউনিয়নে পণ্য রপ্তানি করে জিএসপি সুবিধা ভোগ করতে পারবে। এ সুবিধার জন্য বাংলাদেশের রপ্তানি কারকগণ দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল।
বাণিজ্যমন্ত্রী রোববার (২১ জুলাই) রাতে ঢাকায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সম্মেলন কেšেদ্র প্রাথমিক ভাবে ১০টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে রেক্স নম্বর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। রেক্স নম্বর প্রাপ্ত রপ্তানিকারক ১০টি প্রতিষ্ঠান হলো জাবের এন্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লি., রিফাত গার্মেন্টস লি., স্কয়ার ফ্যাশনস লিমিটেড, নোমান টেরিটাওয়েল মিলস লি., সী পার্ক (বিডি) লিমিটেড, চট্রগ্রাম, আকিজ জুটমিলস লিমিটেড, প্রাণ এগ্রো লিমিটেড, কারুপণ্য রংপুর লিমিটেড, মেসার্স ইউনিগ্রেøারি সাইকেলস ইন্ডাস্ট্রিজ লি.এবং ইউনিভার্সেলস জিন্সলিমিটেড। পর্যায়ক্রমে দেশের প্রায় ৬ হাজার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে এ রেক্স নম্বর প্রদান করা হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রপ্তানিকারকদের জন্য আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য সহজিকরণের ক্ষেত্রে আরো একধাপ এগিয়ে গেলো। দেশের রপ্তারি ক্ষেত্রে অনেক দায়িত্ব রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো পালন করতো, এখন এ দায়িত্ব ব্যবসায়ীদেরই পালন করতে হবে। দেশের সুনাম রক্ষা করে বাণিজ্য করতে হবে। ইতোপূর্বে রপ্তানি বাণিজ্যে জালিয়াতি করে বাংলাদেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। সে কারনে দেশের চিংড়ি রপ্তানি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। নিয়মের মধ্যে থেকে রপ্তানি কারকদের নিজ দায়িত্বে বাণিজ্য করতে হবে। প্রতিযোগিতা মূলক বিশ্ববাণিজ্যে টিকে থাকতে হলে এর কোন বিকল্প নেই। আমরা আশা করছি এতে করে দেশের রপ্তানি আরো বৃদ্ধি পাবে।
অন্ষ্ঠুানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. সফিকুল ইসলাম, এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বিজিএমইএর সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমানসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ রেক্স নম্বর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।