পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাছিম উল আলম : ‘দেশে কোনো লোডশেডিং নেই, রমজানেও থাকবে না’ দায়িত্বশীল মহলের এ দাবি অকার্যকর হতে চলেছে দেশের পশ্চিম জোনের ২১টি জেলায়। প্রায় সাড়ে ১২শ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে গত কয়েকদিন ধরে বরিশাল ও খুলনা বিভাগসহ ফরিদপুর অঞ্চল নিয়ে পশ্চিম জোনের ২১ জেলায় চাহিদার ৭০ ভাগের বেশি বিদ্যুৎ সরবারহ হচ্ছে না। সকাল থেকে দিন গড়িয়ে মধ্য রাতের পর পর্যন্ত লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ এ অঞ্চলের সাড়ে ৩ কোটি মানুষ। ফলে অগামীকাল থেকে শুরু হওয়া রমজানে রোজাদারদের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌছবে বিদ্যুতের কারনে। গতকাল রাত আড়াইটা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ঘাটতিতে মানুষ চরম দূর্ভোগ সহ্য করেছে। শিল্প কারখানা থেকে ব্যাবসা-বানিজ্য সর্বত্রই সংকট চলছে। সরকারীÑবেসরকারী হাসপাতালগুলোতে নিয়মিত ও জরুরী চিকিৎসা সেবা পর্যন্ত বিপর্যস্ত। এমনকি অনেক জেলা সদরের হাসপাতালগুলোতে জরুরী অস্ত্রপচার পর্যন্ত সময়মত করা যাচ্ছে না।
এরসাথে বরিশাল মহানগরী সহ সমগ্র দক্ষিনাঞ্চলে বিপর্যস্ত বিতরন ব্যবস্থায় বাড়তি দূর্ভোগে পড়ছেন এ অঞ্চলের মানুষ। বিতরন ব্যবস্থায় ত্রুটির কারনে বরিশাল মহানগরীতে আকাশে মেঘ জমলেই বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর সাথে ঢাকার কেন্দ্রীয় লোড ডেসপাস সেন্টার-সিএলডিসি থেকেই দুর নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থায় বরিশাল মহানগরীর একটি বড় অংশসহ জেলার বেশীরভাগ এলাকা এবং ঝালকাঠী জেলায় বিদ্যুৎ সরবারহ বারবারই বন্ধ করে দেয়ায় সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ ক্রমশ ক্ষোভে পরিনত হচ্ছে। ঘন্টাধীককাল লোডসেডিং-এর পরে দূর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় ঢাকা থেকে ৩৩ কেভী মূল সাবস্টেশনটি বন্ধ করে দেয়ায় ঐ এলাকা সহ নগরীর প্রায় অর্ধেক এলাকাই অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে। শণিবার মাগরিব থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বরিশাল মহানগরীর কাশীপুরর ৩৩কেভী সাবস্টেশনটি ৩বার দুর নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থায় বন্ধ করে দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে বিব্রত এ অঞ্চলের বিদ্যুৎ বিতরন কোম্পানী ‘ওজোপাডিকো’র মাঠ পর্যায় থেকে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাগনও।
গতকালও ডে-পীক আওয়ারে বরিশাল অঞ্চলে প্রায় দেড়শ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরিতে সরবারহ ১শ মেগাওাটের নিচে ছিল। খুলনা,যশোর,ফরিদপুর ও কুষ্টিয়া অঞ্চল সমুহে প্রায় ৯শ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরিতে সরবারহ ছিল সাড়ে ৫শ মেগাওয়াটের মত। শণিবার সান্ধ পীক আওয়ারে বরিশাল ও খুলনা অঞ্চল সহ পশ্চিম জোনের ২১জেলায় সরবারহ ছিল সাড়ে ৯শ মেগাওয়াটেরও কম। চাহিদা ছিল সাড়ে ১২শ মেগাওয়াটেরও বেশী। এমনকি বরিশাল সহ দক্ষিনাঞ্চলের ৬টি জেলায় গতকালও দিনভর লোডসেডিং শেষে রাতের পরিস্থিতি ছিল আরো ভয়াবহ। লাগাতর বিদ্যুৎ সংকটে বরিশাল মহানগরীর বেশীরভাগ এলাকাতোই পানি সরবারহেও বিপত্তি সৃষ্টি হচ্ছে।
সারা দেশে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীড থেকে ন্যয্য হিস্যা মাফিক পশ্চিম জোনে সরবারহ না করার কারনেই এ অঞ্চলের সাধারন মানুষের দূর্ভোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায়ও বিপর্যয় সৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই নাজুক যে আজ রাতের তারাবীর নামাজ দক্ষিন ও দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের মুসুল্লীগন নির্বিঘেœ আদায় করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সকলেই। অথচ বিদ্যুৎ ও জ্বালনী মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বশীল মহল থেকে আরো ১৫দিন আগেই রমজানে দেশে কোন লোডসেডিং থাকবে না বলে ঘোষনা করা হয়েছে। যা ইতোমধ্যে অসাড় প্রমানিত হতে শুরু করেছে। এসব বিষয়ে ওজোপাডিকো’র দায়িত্বশীল মহল এখন কোন মন্তব্য করতেই নারাজ। তাদের মতে ‘জাতীয় গ্রীড থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুৎ বিতরণ করা হচ্ছে’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।