পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নেত্রকোনা জেলা শহরে প্রকাশ্য দিবালোকে শিশুর গলাকাটা মস্তক নিয়ে ঘুরে বেড়ানো ঘটনায় শিশু হত্যাকারী অজ্ঞাত যুবক গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এক অজ্ঞাত যুবক বারহাট্টা রোডস্থ শ্রমিক ইউনিয়নের সামনে মেথরপট্টিতে মদ পান করার পর মাতলামি করার সময় তার ব্যাগ থেকে একটি শিশুর গলাকাটা মস্তক (মুন্ডু) মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় স্থানীয় জনতা তা দেখে ফেলে। মুহূর্তে খবর আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত শত শত জনতা ওই যুবককে ধাওয়া করে নিউটাউন পঁচাপুকুর (অনন্ত পুকুর) পাড়ে তাকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলে। খবর পেয়ে পুলিশ পুকুর পাড় থেকে শিশুর গলাকাটা মস্তক এবং অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ খবর শহরে ছড়িয়ে পড়লে ছাত্র শিক্ষক অভিভাবক মহলে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। জনতা শিশুর গলাকাটা মস্তক এবং শিশু হত্যাকারীর লাশ দেখার জন্য পুকুর পাড়ে ভিড় জমায়। জনতার ভিড় সামাল দিতে পুলিশকে গলদগর্ম হতে হয়।
ফেইসবুকে গলাকাটা শিশুর ছবি মুহূর্তে ভাইরাল হলে খবর পেয়ে কাটলী এলাকার রিকশাচালক রইসউদ্দিন থানায় গিয়ে জানায়, গলাকাটা শিশুটি তার পুত্র সজিবের। তার বয়স ৮ বছর। বেলা ১১টার দিকে সজিব তার কাছে আইসক্রিম খাবার জন্য ৫ টাকা চায়। কিন্তু হাতে টাকা না থাকায় সময় সজিবকে আইসক্রিম খাওয়ার টাকা দিতে পারেনি।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিশুটির পরিচয় পাওয়া গেছে, তবে শিশু হত্যাকারীকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলায় শিশুটির দেহের বাকি অংশ কোথায় আছে এবং কী কারণে শিশুটিকে গলাকেটে হত্যা করা হলো, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গণপিটুনিতে নিহত অজ্ঞাত ব্যাক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।