পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
টানা দরপতনের মধ্যে দুই কার্যদিবস সামান্য উত্থানের পর বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দেশের শেয়ারবাজারে আবারও দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচকের পতনের সঙ্গে কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। এদিকে শেয়ারবাজারের চলমান দুরবস্থা কাটাতে হস্তক্ষেপ কামনায় প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান উর রশিদ চৌধুরী। এর আগে শেয়ারবাজারে দরপতনের প্রতিবাদে গত কয়েকদিনের মতো বৃহষ্পতিবারও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত এ মানববন্ধন থেকে বরাবরের মতো বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনের পদত্যাগ দাবি করা হয়।
মিজান উর রশিদ চৌধুরী বলেন, শেয়ারবাজারের মন্দার কারণে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনের পদত্যাগ অথবা অপসারণসহ বেশিকিছু দাবি তুলে ধরেছি। কিন্তু আমাদের কোনো দাবিই মানা হচ্ছে না। তাই পুঁজিবাজার ঠিক করতে এখন আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আশা করি, প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডাকে সাড়া দেবেন। তিনি দেশের উন্নয়নে যেমন ভূমিকা রাখছেন, তেমনি শেয়ারবাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পুঁজি রক্ষায়ও এগিয়ে আসবেন।
বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৩০ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকেরও মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ৪৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮২৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর শরিয়াহ সূচক দশমিক ৭৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৭৬ পয়েন্টে।
সব সূচকের পতনের পাশাপাশি বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১১১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে ২০৪টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির।
মূল্য সূচক ও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও এদিন ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে ৩৯৫ কোটি ২৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ লেনদেন বেড়েছে ৮৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
টাকার অংকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিকন ফার্মাসিউটিক্যালের ২৬ কোটি ৫১ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর ১৩ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স।
এ ছাড়া বাজারটিতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, ন্যাশনাল পলিমার, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, রানার অটোমোবাইল এবং সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭২৪ পয়েন্টে। বাজারটিতে হাত বদল হওয়া ২৮৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১১১টির, কমেছে ১৫০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির দাম। লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।