পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীর জিইসি মোড় ও আশপাশের এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাপক গাড়ি ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগ। এ সময় প্রাইভেট ক্লিনিকসহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলা হয়। রাত সোয়া ১০টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই তা-বে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের মাইক্রোবাসসহ অন্তত অর্ধশত গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সব গাড়ীর বেশিরভাগ সিইসি মোড় থেকে গোলাপাহাড় হয়ে শিল্পকলা একাডেমি
এলাকায় সড়কের দুই পাশে পার্কিং করা ছিল।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের ৭০ থেকে ৮০ জন নেতাকর্মী জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে আকস্মিক এই তা-ব শুরু করে। ঘটনার সময় এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় জিইসি মোড়ের আশপাশের এলাকায়। বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাটও।
তারা আরো জানায়, ছাত্রলীগের সাবেক এক কেন্দ্রীয় নেতাকে বরণ করতে শাহ আমানত বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে নগরীর বন্দরটিলায় এক মাইক্রোবাস চালকের সাথে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ঝামেলা হয়। রাত ৮টার দিকে তাদের আনার জন্য এমইএস কলেজ ও সিটি কলেজ কেন্দ্রিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কয়েকটি মোটরসাইকেলযোগে বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন। বন্দরটিলা এলাকার রাস্তায় স্থানীয় জাকারিয়া ড্রাইভারের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার উপর হাত তুলেন। এ সময় জাকারিয়াসহ স্থানীয়রা রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে তাদের আটকায় এবং মারধর করেন। তাদের মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ঘটনা শেষ হয়ে যাওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আরেক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আবারও বন্দরটিলায় যান ঘটনার প্রতিশোধ নিতে। কিন্তু এবারও স্থানীয়দের মারধরের শিকার হয়ে তাদের ফিরে আসতে হয়। এ ঘটনায় এমইএস কলেজ গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে এ ঘটনার প্রতিবাদে জিইসির মোড়ে আকস্মিক ভাঙচুর চালায় তারা।
এ ব্যাপারে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজ আহমদ জানান, ভাঙচুরের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। এ সময় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের গাড়ি ছাড়া আর কোনো ভাঙচুর হওয়া গাড়ি আমরা দেখিনি। হয়তো সেগুলো দ্রুত সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ঘটনায় এমইএস কলেজ কেন্দ্রিক ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ ভাঙচুর চালিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে আমরা এসে কাউকে ধরতে পারিনি। ঘটনার ব্যাপারে ইপিজেড থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, বন্দরটিলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে এক মাইক্রো ড্রাইভারের ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। এটা মীমাংসা হয়ে গেছে, তেমন কিছু না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।