পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পিপলস লিজিংয়ের সাথে সব ধরনের লেনদেন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট থেকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামান খান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বিএফআইইউ’র ‘গো এএলএম’ সফটওয়ারের মাধ্যমে পিপলস লিজিংয়ের সাথে সব ধরনের লেনদেন বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ বিষয়ক সব ধরনের সিদ্ধান্ত দিবে আদালত। তবে অবসায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কতদিন সময় লাগতে পারে সে বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেননি তিনি। পিপলস লিজিংয়ে এক হাজার ১৩১ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি ৭৪৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৬৬ দশমিক ১৪ শতাংশ। ধারাবাহিক লোকসানের কারণে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এ প্রতিষ্ঠানটি ২০১৪ সালের পর থেকে কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি।
গত ২১ মে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থমন্ত্রণালয়ে পিপলস লিজিংয়ের অবসায়নের আবেদন করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৬ জুন অর্থমন্ত্রণালয় তা অনুমোদন দেয়। গত ১০ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক অবসায়নের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৪ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক আদালতে অবসায়ক নিয়োগ দেওয়ার জন্য আবেদন করলে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যাবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামান খানকে সাময়িকভাবে অবসায়ক নিয়োগ দেন আদালত। উল্লেখ, পিপলস লিজিংয়ের অবসায়নে দায়ের করা বাংলাদেশ ব্যাংকের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ৯ পরিচালকসহ ১১ জনের হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকার।
যেসব ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তারা হলেন- পিএলএফএসএল’র সাবেক পরিচালক এম মোয়াজ্জেম হোসেইন, নারগিস আলামিন, হোমাইরা আলামিন, আরেফিন সামসুল আলামিন, মোহাম্মদ ইউসুফ ইসমাইল, মতিউর রহমান, বিশ্বজিৎ কুমার রায়, খবিরুদ্দিন মিয়া, মোহাম্মদ সহিদুল হক এবং পিএলএফএসএলের শীর্ষ দুই কর্মকর্তা কবির মুস্তাক আহমেদ ও নৃপেন্দ্র চন্দ্র পÐিত। এই ১১ ব্যক্তির সম্পদ ও ব্যাংক হিসাবের ওপর কেন অন্তরবর্তী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে না, তা-ও জানতে চেয়েছেন আদালত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।