পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, পেঁয়াজসহ অন্য যেসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সেসব পণ্যের দাম কমে আসবে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের এ অধিবেশন হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন।
টিপু মুনশি বলেন, গত রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করেছি এবং সফলতা পেয়েছি। এখন পেঁয়াজ-রসুনসহ কয়েকটা পণ্যের দাম বেড়েছে। এ বিষয়ে আমরা ডিসিদের বলেছি লক্ষ্য রাখতে হবে যেন জিনিসপত্রের দাম না বাড়ে। পেঁয়াজের দাম হাঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার বিশেষ কারণ হচ্ছে বৃষ্টিতে পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। এছাড়া ভারত থেকে যেসব পেঁয়াজ আমদানি হতো সেটা একটু কমে গেছে।
‘তবে আশা করছি আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই এ অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। আমরা ডিসিদের বলেছি ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণ করা আপনাদের একটা বড় দায়িত্ব। একই সঙ্গে ভেজাল খাবার যেন বাজারে না এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।’
টিপু মুনশি বলেন, ভেজালমুক্ত ও ফরমালিনমুক্ত পণ্য নিশ্চিত করতে গত রমজান মাসে ব্যাপক অভিযান চালানো হয়েছে। ভোক্তা আইনে অনেক বিচার-সালিশ ও জরিমানাও করা হয়েছে। ফরমালিন নিয়ন্ত্রণে আমাদের প্রচলিত আইন রয়েছে সেগুলো যেন শক্তভাবে প্রয়োগ করা হয় তা বলা হয়েছে।
দুধের ভেজাল নিয়ে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে- এমন কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট করে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে জেনারেলি বলা হয়েছে যেন ভেজাল থেকে আমরা রক্ষা পাই।
দুধের ভেজাল বিষয়ে ডিসিরা কিছু বলেছেন কি- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা তো অল্প কয়েকদিনে ঘটল। এ বিষয়ে প্রচালিত আইনে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলে দেয়া হয়েছে। এদিকে একই দিনে বাণিজ্য মন্ত্রণালের সম্মেলন কক্ষে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রফতানি আয়ে লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত অর্জন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রফতানি আয়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৪ বিলিয়ন ডলার। এ হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় হয়েছে ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের রফতানি আয় ছিল ৪১ বিলিয়ন ডলার। তবে এ প্রবৃদ্ধিটা আমরা ১৫ শতাংশে নিয়ে যেতে চায়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রফতানি করে ৪৬ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। রফতানির এই আয় ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় ১৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ বেশি। তিনি বলেন, ২০১৩-১৪ অর্থবছরের পর প্রথমবারের মতো ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দ্বিগুণ ডিজিট প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।