পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক
ভারতের অ্যাপোলো হসপিটাল না বুঝে কিডনি পাচার চক্রের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করে আসছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। একপর্যায়ে ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়ে এবং পুলিশ চক্রের পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। গতকাল হাসপাতালের একজন মুখপাত্র এ কথা জানান। চক্রটি কিডনির প্রয়োজন এমন অসুস্থ ব্যক্তির আত্মীয় সাজিয়ে গরীব লোকজনকে কিডনি বিক্রিতে প্রলুব্ধ করত। এসব লোকদের কাছ থেকে চক্রটি তিন লাখ রুপি (সাড়ে চার হাজার ডলার) দিয়ে কিডনি কিনে তা বেশি দামে বিক্রি করত।
এদিকে চক্রের সাথে জড়িত দু’জন হাসপাতালে কিডনি বিশেষজ্ঞের সহকারী হিসেবেও কাজ করতো। তবে এ দু’জন হাসপাতালের বেতনভুক কর্মী ছিল না বলে জানান মুখপাত্র।
যার শরীরে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হবে কিডনিদাতা তার আত্মীয় এটা প্রমাণের জন্যে তারা ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করত। এক্ষেত্রে তারা হাসপাতালের স্টাফদের বোকা বানিয়ে কাজটি করে যেতো। মুখপাত্র জানান, আমরা পুলিশকে ডেকে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছি। ভারতে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বেচাকেনা নিষিদ্ধ। এছাড়া অনাত্মীয় কারো অঙ্গ নিতে হলে তা অবশ্যই বিশেষ কমিটি দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে। যেসব লোক কিডনি চক্রের কাছে বিক্রিতে প্রলুব্ধ হয় তারা সাধারণত ভারতের তামিলনাড়– ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য থেকে আসে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিল্লী পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছর আমরা চক্রটির কিডনি বিক্রির পাঁচটি ঘটনা চিহ্নিত করেছি। আমরা পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছি। ভুয়া আইডি কার্ড, সিডি ও অন্যান্য কাগজপত্র উদ্ধার করেছি। তিনি জানান, পুলিশ প্রথমে হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে। ভারতে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অব্যাহত ঘাটতির কারণে এসব নিয়ে কালোবাজারি দিন দিনই বাড়ছে। এছাড়া দেশটিতে ডায়াবেটিস রোগীর উচ্চহার থাকার কারণে কিডনি রোগীও বেশি হওয়ায় প্রতিস্থাপন চাহিদাও বেশি। সূত্র : এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।