পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাকৃবি সংবাদাদাতা (ময়মনসিংহ) : উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, অস্টিওপোরোসিস, ডেন্টাল ক্যারিজ প্রভৃতি রোগ প্রতিরোধে দুধ একটি অন্যতম খাদ্য। মানুষের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো এসিড মাত্র এক গøাস দুধে পাওয়া যায়। এছাড়াও দুধে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের পরিমাণ বেশি থাকায় তা হাড় গঠনেও সাহায্য করে।
গতকাল বিশ্বদুগ্ধ দিবসে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন মূল প্রবন্ধক ও ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নূরুল ইসলাম। সেমিনারে বিজ্ঞানীরা আরও বলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতিদিন একজন প্রাপ্ত বয়স্ক লোকের জন্য ২৫০ মি.লি. দুধ খাওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের গড় প্রাপ্যতা ১২২ মি.লি.। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় আমাদের ঘাটতি প্রায় ৫২ শতাংশ। এ ঘাটতির সুযোগ নিয়ে প্রতিবছর বিদেশ থেকে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার গুঁড়ো দুধ আমদানি করা হয়। গুঁড়ো দুধের মান নিয়েও রয়েছে যথেষ্ট সংশয়।
গতকাল শনিবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের সামনে এই দুগ্ধ দিবসের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। “সুস্থ জাতি গড়তে দুধের উৎপাদন বাড়ান” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সকালে এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের সামন থেকে শুরু হয়ে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনের সামনে শেষ হয়। র্যালি শেষে বিভিন্ন স্কুলের সহ¯্রাধিক শিশুদের দুধ পান করানো হয়। ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আশিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর। এছাড়াও সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি মাইক রবসন, পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.এস.ডি. চৌধুরী, মিল্ক ভিটার অতিরিক্ত সচিব মো. জাকির হোসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অজয় কুমার রায় প্রমুখ।
ঠাকুরগাঁওয়ে দেড়শ’ কৃষকের মাঝে কেঁচো বিতরণ : আগ্রহ বাড়ছে জৈব সার ব্যবহারে
ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা : “জৈব সার ব্যবহারে, ফলন বাড়ে অধিক হারে” এই সেøাগানকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে ভার্মি কম্পোষ্ট ভিলেজ সৃজন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বালিয়া ইউনিয়নের জংলি পাড়া গ্রামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও মা এগ্রো চুয়াডাঙ্গা এর উদ্যোগে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মুকেশ চন্দ্র বিশ্বাস। এসময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী জেলা কৃষক লীগের সভাপতি সরকার আলাউদ্দিন, মা এগ্রো চুয়াডাঙ্গার স্বত্বাধিকারী মফিজুর রহমান মাফুজ, বালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরে আলম সিদ্দিকি মুক্তিসহ অনেকে উপস্তিত ছিলেন। পরে কৃষি উন্নয়নের স্বার্থে চুয়াডাঙ্গার মা এগ্রো’র পক্ষ থেকে ১২০ জন কৃষান, কৃষাণীর হাতে বিনামূল্যে কেঁচো তুলে দেন। যার বাজার মূল্যে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা বলে নিশ্চিত করেছেন কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক। কেঁচো কম্পোষ্ট সার তৈরি করে জমিতে ব্যবহার করলে রাসয়ানিক সার ব্যবহার করতে হবে না বলে জানান অতিথিরা। এসময় মা এগ্রো চুয়াডাঙ্গা’র স্বত্বাধিকারী মফিজুর রহমান মাফুজ জানান, কৃষি উন্নয়নের স্বার্থে বিনামূল্যে ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রমবারের মতো প্রায় দেড়শ’ জন কৃষকের মাঝে কেঁচো বিতরণ করা হলো। এ থেকে একটি গ্রাম জৈব সার উৎপাদনের মাধ্যমে চাষাবাদ করতে পারলে আশপাশের কৃষকরাও তাদের কাছে সুবিধা পাবে। চাষি পর্যায়ের উন্নত মানের ডাল, তেল ও পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ (২য় পর্যায়ে) প্রকল্প পরিচালক নজরুল ইসলাম নিঃস্বার্থে মা এগ্রোকে প্রতিষ্ঠিত করায় দেশের কৃষকরা সুফল পাচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা কৃষি স¤প্রসারণ উপ-পরিচালক আরশেদ আলী জানান, বিনামূল্যে কেঁচো পেয়ে কৃষকরা জৈব সার উৎপাদনে ভূমিকা রাখবে। এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামের কৃষকরাও কেঁচো দিয়ে জৈব সার উৎপাদন করতে পারবে। এভাবে বিস্তার লাভ করবে জৈব সারের কৃষি জমি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।