পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় হয়েছে ৭ হাজার ৯০ কোটি টাকা। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সংখ্যা ৮ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৫৩ লাখ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৩ কোটি ৯৭ লাখ। সম্প্রতি গ্রামীণফোনের প্রকাশিত অর্ধ-বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুয়ায়ি, গ্রামীণফোন চলতি বছরের ছয় মাসকে নিয়ন্ত্রণমূলক ও চ্যালেঞ্জিং পরিবেশ হিসেবে উল্লেখ করেছে। তা সত্ত্বেও এই সময়ে তারা ৭ হাজার ৯০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। যা ২০১৮ সালের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় ১০ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তাদের আয় করা রাজস্বের ৫৮ শতাংশ কর বাবদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে প্রদান করেছে। ভ্যাট, ট্যাক্স, ডিউটি, ফি, ফোরজি লাইসেন্স এবং স্পেকটার্ম অ্যাসাইনমেন্ট বাবদ ৪ হাজার ৯০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, প্রথম ছয় মাসে প্রতিষ্ঠানটির নেটওয়ার্কে ১৩ লাখ নতুন গ্রাহক যোগ দিয়েছে। যেটি ২০১৮ সালের শেষ প্রান্তিকের তুলনায় ৩ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। একই সময়ে গ্রামীণফোন ১৬ লাখ নতুন ইন্টারনেট গ্রাহক পেয়েছে। গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যার ৫২ দশমিক ৮ শতাংশ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।
গ্রামীণফোন জানিয়েছে, ২০১৯ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটি ৩৮০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটি ১ হাজার ৫৬০টি নতুন ফোরজি সাইট স্থাপন করেছে এবং পাশাপাশি নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নে অর্থ ব্যয় করেছে।
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, চ্যালেঞ্জিং ব্যবসায়িক পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে শক্তিশালী ফলাফল অর্জন করেছি। এ সময়ে আমরা ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে গুরুত্ব দিয়েছি। জুন মাসের শেষ নাগাদ বাংলাদেশের ৬২ শতাংশ জনসংখ্যা গ্রামীণফোনের ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। নতুনভাবে সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায় গ্রাহকদের সুবিধার্থে আমরা আমাদের সেবাগুলোর পুর্নবিন্যাস করেছি। ভয়েস ও ইন্টারনেট ব্যবহারে আমরা ভালো প্রবৃদ্ধি দেখেছি। এই সময়ে প্রতি গ্রাহকের মোবাইল সেবা ব্যবহারও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতেও আমরা আমাদের শেয়ার হোল্ডাদের স্বার্থ রক্ষা করার পাশাপাশি গ্রাহকদের যথাযথ মানসম্মত সেবা অব্যাবহত রাখবো। দ্বিতীয় প্রান্তিকে কর পরবর্তী মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৬০ কোটি টাকা যেখানে মার্জিন ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ। শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ০৭ টাকা।
গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিএফও মোস্তফা আলিম আওলাদ বলেন, গ্রামীণফোন প্রথম ছয় মাসে শক্ত মার্জিন নিয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়িক ফলাফল অর্জন করেছে। তিনি বলেন, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে আমরা বিনিয়োগ অব্যাহত রেখে মানসম্মত গ্রাহক আমাদের নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করে আমাদের লাভজনক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে আশাবাদী। গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ পরিশোধিত মূলধনের ৯০ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।