পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেছেন, বাংলাদেশে আগামী দিন সুনিশ্চিতভাবে ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। পাশ্চাত্যের দেশগুলো প্রচার করছে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের উত্থান ঘটেছে। আমরা সেটা দেখি না। আমি মনে করি, আগামী দিন বাংলাদেশ শক্তিশালী ইসলামী রাষ্ট্র হবে। সেটা যারা যত তাড়াতাড়ি অনুধাবন করতে পারবেন তাদের জন্য ততই ভালো। আর ইনকিলাব তার অন্যতম অংশীদার আছে, থাকবে।
গতকাল শনিবার দৈনিক ইনকিলাবের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। পত্রিকাটির ভবনে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন অঙ্গনের বিশেষ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যের মধ্যে দৈনিক ইনকিলাবের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন, নির্বাহী পরিচালক ফাহিমা বাহাউদ্দীন, পরিচালক (মার্কেটিং) মো. আব্দুল কাদের, নির্বাহী সম্পাদক মাওলানা কবি রূহুল আমীন খান, ফিচার সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুর, সহযোগী সম্পাদক মোবায়েদুর রহমান, সহকারী সম্পাদক মুন্সী আবদুল মান্নান, আব্দুল আউয়াল ঠাকুর, এ কে এম ফজলুর রহমান মুনশী, উবায়দুর রহমান খান নদভী, বার্তা সম্পাদক, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক এম এম হাফিজুর রহমান, বিশেষ সংবাদদাতা (ক্রীড়া সম্পাদক) রেজাউর রহমান সোহাগ, জিএম (প্রশাসন ও অপারেশন) মো. হাবিবুর রহমান তালুকদার, জিএম (হিসাব ও অর্থ) শেখ সিরাজুল ইসলাম এবং চিফ রিপোর্টার রফিক মুহাম্মদসহ সকল সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক ইনকিলাবের সম্পর্কে বলেন, দৈনিক ইনকিলাব একটা চিন্তা, শুধুমাত্র সংবাদপত্র নয়। মানুষের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক চিন্তার ক্ষেত্রে দৈনিক ইনকিলাবের প্রভাব-প্রতিপত্তি আগের যে কোনো সময়ের থেকে অনেক বেশি। অনেক পত্রিকার সার্কুলেশন লাখে লাখে বেড়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখবেন তাদের লাখে লাখে কমেছে। দৈনিক ইনকিলাবের সেভাবে কমতে দেখি না, বরং লাখে লাখে বাড়ার ইতিহাস আছে।
তিনি দৈনিক ইনকিলাবের অনলাইন ভার্সনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, সউদী আরব, যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বিদেশে ও দেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গত ৬ মাসে ইনকিলাবে প্রায় ৬ কোটি হিট হয়েছে। দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার মূল্য ১২ টাকা হলেও পাঠক ও গ্রাহক কমেনি। যারা আমাদের পাঠক ছিলেন তারা এখনও আছেন। পাঠক বরং দিন দিন বেড়েই চলেছে।
ইসলামী মূল্যবোধের প্রসঙ্গে দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক বলেন, এই দেশে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ যে যাই করুক ইসলামী মূল্যবোধের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। সরকার তার রাজনৈতিক সুবিধার জন্য কত বদলে গেছে। এখানে ইসলামী মূল্যবোধের বাইরে কিছু হবে না। ভারত ও ওয়াশিংটনের মতে কোনো কাজ হবে না। বাংলাদেশে ৯২ ভাগ মুসলমান বাস করে। তারা যত মতেই বিভক্ত হোক না কেন, চেতনার ক্ষেত্র এক। আর ইনকিলাব প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি ছিল ইসলামী মূল্যবোধের সমাজ প্রতিষ্ঠা, কোনো রাজনৈতিক কারণে নয়।
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন প্রসঙ্গে বলেন, এখানে ৮০ লাখ ছাত্র আছে, সাড়ে তিন লাখ শিক্ষক আছে এবং ২০ হাজার প্রতিষ্ঠান আছে। আরো একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। তাই এখন জমিয়াতুল মোদার্রেছীন এখন সংগঠিত। আগামীতে যে বাংলাদেশ হবে সেটি হবে শক্তিশালী, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিকভাবে ঋদ্ধ। আর দৈনিক ইনকিলাব ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ক্ষমতার অন্যতম স্তম্ভ হবে। দেশের সব ধারার ইসলামী দলগুলো আলিয়া, কওমি ও আহলে হাদীস সবাই এক। সবার সাথে কোনো না কোনোভাবে দৈনিক ইনকিলাব যুক্ত আছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক মেগা প্রকল্প হচ্ছে। আমরা চাই আরো উন্নয়ন হোক। এ উন্নয়ন দেশের জনগণই ভোগ করবে।
বিভিন্ন সংগঠনের ফুলের শুভেচ্ছা
ঘরোয়া পরিবেশে দৈনিক ইনকিলাবের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। পত্রিকাটির শুভাকাক্সক্ষী, শুভানুধ্যায়ী হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে দুপুর থেকে রাত অবধি ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সারোয়ার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান, শরিক বাংলাদেশ ন্যাপ-এর চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) আব্দুল আউয়াল খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) মাহবুবুল হক নান্নু, বেসরকারি মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক ও স্যামসাং অনসিটো পিআর রাজিবুল ইসলাম, বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শাহ মো. আবু জাফর, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান, যুবদলের সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর চুন্নু, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল হাসান ভূইয়া পিংকু, সহ-কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, পল্টন থানা যুবদলের সভাপতি জুয়েল, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর হোসেন ঈসা, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সভাপতি এম এ মালেক, এডিশন গ্রপের সিনিয়র র্মাকেটিং অফিসার মো. আইউব, জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা এম এ মালেক, মহানগর ওলামা দল নেতা মাওলানা মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মাসুম, জিয়া নাগরিক ফোরামের (জিনাফ) সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার, সহ-সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ, সাংবিধানিক অধিকার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জন ঘোষ, দেশনেত্রী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, সহ-সভাপতি হাজী মোহন মোল্লা, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, মিয়া মো রাসেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জয় দে রিপন, দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারি, সমাজসেবা সম্পাদক আব্দুর রহিম, ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ মাহমুদ, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আজিজ রুমি, তথ্য-গবেষণা সম্পাদক মামুন খান, সহ-অর্থ সম্পাদক সিহাবুর রহমান, প্রাণ-আরএফএল সহকারী ম্যানেজার যোগাযোগ মার্কেটিং তৌহিদুজ্জামান, কর্মজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন সরদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম পটু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম আশরাফুর রহমান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।