Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আ’লীগের মুমূর্ষু বিদ্রোহী প্রার্থীকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন স্বজনেরা

প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

খুলনা ব্যুরো : নড়াইলের নড়াগাতি উপজেলার কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বিপ্লব। গত ৩০ মে সকাল সোয়া ১০টার দিকে কলাবাড়িয়ার ২৫ পাড়া বাজারে প্রকাশ্যে বেধক পিটিয়ে ও একাধিক গুলি করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর ক্যাডাররা। গোপনে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে তাকে ভর্তি করেন স্বজনরা। এ খবর পেয়ে হামলাকারীরা খুলনাতে এসে খুঁজতে থাকে তাকে। অবস্থার অবনতি ও প্রতিপক্ষের ভয়ে গতকাল দুপুরে খুলনা থেকে গোপনে ঢাকায় নেয়া হয়েছে তাকে। মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় কাতরানো বিপ্লবের কাছ থেকে শুনে এসব তথ্য জানা গেছে। বিপ্লব কলাবাড়িয়া গ্রামের আবুল কাসেম মোল্যার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতের মাধ্যমে জানা গেছে, গত ৩০ মে সকাল সোয়া ১০টার দিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিদ্রোহী প্রার্থী হাফিজুর রহমান বিপ্লব (৪১) স্থানীয় ২৫পাড়া বাজারে বসে কর্মী-সমর্থকদের সাথে আলাপ বিনিময় করছিলেন। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত মাহামুদ হাসান কায়েসের নেতৃত্বে ৩৫/৪০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী হাফিজুর রহমান বিপ্লবের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। বেধড়ক মারপিটের একপর্যায়ে খুব কাছ থেকে বিপ্লবের বুকে গুলি করতে উদ্যত হয় সন্ত্রাসীরা। এই গুলি হাত দিয়ে ঠেকান তিনি। ডান হাতসহ শরীরে একাধিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটে পড়েন। মৃত ভেবে সন্ত্রাসীরা চলে গেলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তাকে। এ খবর পেয়ে সন্ত্রাসীরা আবারো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে যায়। খবর পেয়ে তার স্বজনরা গোপনে বিপ্লবকে নিয়ে পালিয়ে ৩১ মে এসে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। দু’দিন চিকিৎসার পর প্রতিপক্ষ আবারো খবর পেয়ে যায় তার অবস্থানের। ফলে তারা ফের খুলনায় আসেন তার খোঁজে। এরইমধ্যে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেবার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। অবস্থায় গতকাল শনিবার দুপুরে আবারো পালিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ থেকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তির উদ্দেশে খুলনা ত্যাগ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজুর রহমান বিপ্লব বলেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাই আমার জীবনের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন জীবনে বাঁচতে চাই; রাজনীতি আর করতে চাই না। যে দলের জন্যে সবকিছু ত্যাগ করলাম; আজ তারাই আমাকে মেরে ফেলতে হন্যে হয়ে খুঁজছে!
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নড়াগাতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, এঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আ’লীগের মুমূর্ষু বিদ্রোহী প্রার্থীকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন স্বজনেরা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ