পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক ঃ বকেয়া বেতনের দাবিতে দিল্লির পৌরকর্মীরা কর্মবিরতিতে রয়েছেন। খিচড়িপুরে উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার অস্থায়ী দপ্তরের বাইরে জঞ্জাল ফেলে বিক্ষোভ করেছেন পূর্ব দিল্লির পৌরকর্মীরা। বাজেট ঘাটতির কারণে দিল্লির নর্থ কর্পোরেশনের কর্মীদের এখনও গত নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের বেতন দিতে পারেনি দিল্লি সরকার। ওই দুই মাসে বেতন পেয়েছেন শুধুমাত্র সাফাইকর্মীরা। প্রতিবাদে গত দুই দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। এদিকে পৌরকর্মীদের কর্মবিরতির জেরে আবর্জনায় ভরে উঠছে রাজধানীর রাস্তা-ঘাট। প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন পৌর স্কুলগুলোর শিক্ষকরাও। ফলে পূর্ব ও উত্তর দিল্লির ওই সমস্ত স্কুলে পাঠদান আপাতত বন্ধ। সিটিজেনস সার্ভিসেস ব্যুরোর জোনাল অফিসগুলোতে কর্মীরা হাজিরা দিলেও কাজে হাত দেননি।
প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে আবর্জনা ফেলার পর নর্থ কর্পোরেশনের প্রধান দপ্তর সিভিক সেন্টারে পৌঁছে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন প্রতিবাদীরা। নর্থ কর্পোরেশনের মেয়র রবীন্দ্র গুপ্তা কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। সিভিক সেন্টার জুড়ে চলতে থাকে প্রতিবাদী স্লোগান এবং মিছিল।
দিল্লি সরকারের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় অনুদানের অভাবে পৌর অর্থকোষে টান পড়াতেই কর্মীদের বেতন বকেয়া রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের দাবি, ‘পরিসংখ্যানের তত্ত্ব অনেক শোনা গিয়েছে। বিজেপি বনাম দিল্লি সরকারের দ্বন্দ্বে আমাদের কোনও ভূমিকা নেই। আমাদের শুধু বকেয়া বেতন চাই।’
এক বিক্ষোভকারী পৌরকর্মীর অভিযোগ, ‘আমাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা দিয়ে সাফাইকর্মীদের মাইনে দেওয়া হয়েছে। কেন এই বৈষম্য? বছরের শুরুতে ছেলেমেয়েদের নতুন ক্লাস শুরু হয়েছে। নতুন বই-খাতা, ইউনিফর্মের টাকা কোথা থেকে জোগাড় হবে?’
প্রতিবাদীদের মেয়র রবীন্দ্র গুপ্তা বোঝানোর চেষ্টা করেন, ‘পৌর দপ্তরগুলো লাভজনক সংস্থা নয়। উদ্বৃত্ত অর্থের অভাবে কর্মীদের বেতন আপাতত বকেয়া রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে আমি ওকে বোঝানোর চেষ্টা করব যাতে বকেয়া মাইনে দেয়া হয়।’ তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীকে রাজি করাতে না পারলে পদত্যাগ করবেন। কিন্তু তাতেও টলেননি প্রতিবাদীরা।
অন্যদিকে, গতকাল সকাল থেকে দফায় দফায় বিক্ষুব্ধ কর্মীরা যন্তরমন্তরের মূল ধর্ণা মঞ্চ এবং সিভিক সেন্টারের প্রধান দপ্তরে হাজির হয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।