পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো অভ্যন্তরীণ বাজারের ব্যাপক চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছে। শুক্রবার (১২ জুলাই) নিক্কেই এশিয়ান রিভিউয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৬ কোটি ৮০ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত বাংলাদেশ একটি কৌশলগত স্থানে রয়েছে। দেশটির এক তৃতীয়াংশ মানুষের বয়স ২৫ বছরের কম।
বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী ক্রমবর্ধমান বাজার হিসেবে দেখছে। ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ইউএনসিটিএডি) জানিয়েছে, গত বছর বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) ৬৮ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড পরিমাণে দাঁড়ায়, ৩ দশমিক ৬১ বিলিয়ন। যা ২০১১ সালের চেয়ে এটা তিনগুণ বেশি।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিগারেট নির্মাতা আকিজ গ্রুপের কোম্পানি ঢাকা টোবাকো থেকে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ান মার্কিন ডলারের বিনিময় কিনেছে জাপান টোবাকো। এর ফলে দেশে-বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। অন্যান্য প্রধান বিনিয়োগের মধ্যে চীনের সাংহাই ও শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ ২৫ শতাংশ স্টেক কিনেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে। এটি বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের একটি অংশ। এছাড়া চীনের আলিবাবা গ্রæপ হোল্ডিংয়ের কোম্পানি আলিপে মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী কোম্পানি বিকাশের ২০ শতাংশ স্টেক কিনেছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বাংলাদেশ শাখার প্রতিনিধি র্যাগনার গুডমুন্ডসন নিক্কেই এশিয়ান রিভিউকে বলেন, এটা ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশ বাড়াতে চলমান সংস্কারের গুরুত্বের পাশাপাশি দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের গুরুত্বকে তুলে ধরেছে।
তিনি আশা করেন ২০১৯ সালের জুন মাসের শেষ নাগাদ চলতি অর্থবছরের এফডিআই গত বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বাড়বে। বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে মেট্রোরেল, সেতু, সুরঙ্গ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এতে শত শত কোটি মার্কিন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ রয়েছে। যার অধিকাংশই এসেছে চীন ও জাপান থেকে।
দেশজুড়ে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের অন্যতম প্রধান কৌশল। এর কারণে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জাপানের সুমিতোতো, সোজিৎজ, নিপ্পন স্টিল, শিনওয়া ও মারুহিসার মতো কোম্পানিগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।