পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দুই দু'বার রাষ্ট্র পরিচালনায় থেকেও বিএনপি জিয়া হত্যার বিচার করেনি কেনো- এ রহস্য উন্মোচন প্রয়োজন। সেইসাথে জিয়াউর রহমান যে শত শত সেনাসদস্যকে বিনা বিচারে হত্যা করেছেন, তারও বিচার করতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অপরাধের বিচারের বিকল্প নেই।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে '২০০৭ সালের ১৬ জুলাই জননেত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস স্মরণে' বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন বেগম জিয়া ও তার পুত্র তারেক। তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকেও জিয়া হত্যার বিচার করেনি। এর রহস্য কী তা জানতে হবে। জাতির পিতার হত্যাকারীদের সাথে হাত মিলিয়ে ক্ষমতায় গিয়ে জিয়া শতশত সেনাসদস্যকে, এমনকি ছুটি থেকে ডেকে এনেও তাদের হত্যা করেছেন, এরও বিচার হওয়া প্রয়োজন। শেখ হাসিনার সরকার ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী।
রাজনীতির আদর্শগত দিক তুলে ধরে মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, সাত-সমুদ্রের ওপার থেকে দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর লম্বা লম্বা কথা কোনো রাজনীতি হতে পারে না। বুলেটের সামনে যেতে কিংবা হাতকড়া পরতে প্রস্তুত সাহসী রাজনীতিকই প্রকৃত রাজনীতিক। বিপদের মুখে পলায়ন নয়, সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়ার সাহস থাকতে হয় রাজনীতিকদের।
সুশাসন ও অবিস্মরণীয় উন্নয়নের পথে দেশকে এগিয়ে নেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে যুগান্তকারী উল্লেখ তথ্যমন্ত্রী এসময় শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও অব্যাহত নেতৃত্ব কামনা এবং তার সহকারী হিসেবে শেখ হাসিনার কারাবন্দী কালের কথা স্মরণ করেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দলের দুঃসময়ে অনেক নেতা টলায়মান হলেও দলের কর্মীরা যেমন অটল বিশ্বাসে বলীয়ান ছিলেন তেমনিভাবে ভবিষ্যতেও যেকোনো পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীদের অটল থাকতে হবে ।
আয়োজক সংগঠনের সহসভাপতি বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী এড. কামরুল ইসলাম এমপি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন। জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক জেনিফার ফেরদৌস, সদস্য চিত্রনায়িকা শাহনূর, উপস্থাপিকা শাবরীন সাকা মীম উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।