Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দূষণমুক্ত পরিবেশ রক্ষায় আইনের প্রয়োগ জরুরি

প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মোহাম্মদ আবু নোমান
নানাবিধ পরিবেশ দূষণে আক্রান্ত আমরা। মানুষের অপরিণামদর্শী ক্রিয়াকলাপের ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, বদলাচ্ছে জলবায়ুর গতিপ্রকৃতি। গ্রিন হাউস প্রভাব, ওজোন স্তরের ক্ষয়, বরফগলন, মরুকরণ, খরা ও বনাঞ্চলের পরিমাণ হ্রাসসহ বিভিন্ন কারণে আজ আমরা ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখোমুখি। বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। সাম্প্রতিককালে মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সিডর ও আইলার মত প্রাকৃতিক বিপর্যয়, বন্যার প্রকোপ, মরুকরণ এসব আমাদের জানিয়ে দিচ্ছে ভবিষ্যতের ভয়াবহ পরিণামের কথা। এজন্য এসব বিষয় নিয়ে ভাবার সময় এখনই। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তাই সম্মিলিত প্রয়াস অত্যাবশ্যক।
নগরায়ন এবং শহরায়নের নামে আমরা বনাঞ্চল কেটে ঘরবাড়ি বানাচ্ছি। এতে বিচিত্র ধরনের পশুপাখির অভয়ারণ্য ছোট হয়ে যাচ্ছে। জীববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন। আমরা নিজেরাই নিজেদের কি পরিমাণ ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনছি তা অনুভব করছি না। আগে গ্রামাঞ্চলে প্রচুর গাছ, ঝোপজঙ্গল ও ছোট ছোট বন ছিল। এখন ঘরবাড়ি ও ব্যবসার নামে চলছে বনসম্পদ বিনষ্টের অশুভ প্রতিযোগিতা। কিন্তু ১টি গাছের পরিবর্তে আর ১টি নতুন গাছ আমরা লাগাই না। এই অনীহার কারণে আমরা প্রকৃতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ধ্বংস করছি। গাছই আমাদের অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং প্রকৃতির কার্বনডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এখন আমরা কার্বনডাই অক্সাইড উৎপাদন করছি, কিন্তু অক্সিজেন উৎপাদনের ক্ষেত্র ধ্বংস করছি।
বিজ্ঞান আজ নতুন নতুন প্রযুক্তি ও কলাকৌশল উদ্ভাবনে ব্যস্ত। মানুষ তার আবিষ্কারের প্রতিভা, পরিশ্রম আর দক্ষতা নিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা পদ্ধতি সংগ্রহ ও ক্রমবিকাশের ধারায় চরম উন্নতি লাভ করেছে। আর সেই গৌরবে মানুষ অন্ধ হয়ে পৃথিবীর সুন্দর পরিবেশকে বিষাক্ত করে তুলছে। তৈরি হচ্ছে পরিবেশ দূষক নানা রাসায়নিক দ্রব্য যা দুরারোগ্য ব্যাধির অন্যতম কারণ। যুদ্ধ মানুষের শুধু জীবন হরণকারী নয়, যুদ্ধের বিভীষিকাময় স্বাক্ষর আজও বহন করছে হিরোশিমা, নাগাসাকি ও ভিয়েতনাম। পারমাণবিক যুদ্ধ ও অস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে তেজস্ক্রিয় দূষণের বিপদ সবচেয়ে বেশি, যা থেকে প্রচুর পরিমাণে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে। গবেষকরা বলেছেন, নিউক্লিয় জ্বালানি উৎপাদন কেন্দ্রের আবর্জনা তার ক্ষতিকারক ক্ষমতা নিয়ে ৬শ’ বছর পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। আজ আমরা ধ্বংসলীলার সমাধীর সামনে দাঁড়িয়ে আছি। তিল তিল করে গড়া এ সভ্যতার গতি কোন দিকে? সৃষ্টির না ধ্বংসের? ধ্বংসের হাত থেকে পরিবেশকে দূষণমুক্ত ও সুন্দর করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। বায়ুদূষণের কারণে দীর্ঘ মেয়াদে শ্বাসকষ্ট, ফুসফুস ক্যান্সার, হার্টের সমস্যা এমনকি ব্রেইন, নার্ভ, লিভার ও কিডনী নষ্ট হয়ে যেতে পারে। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের পক্ষে অবশ্যই আমরা, কিন্তু সেই প্রযুক্তি অবশ্যই পরিবেশবান্ধব হতে হবে। পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে প্রয়োজনে পরিবেশ ও বন আদালত স্থাপনসহ কঠোর আইনের প্রয়োগ জরুরি।
শহরের বায়ুদূষণ এমনই যে, আকাশের স্বচ্ছতা আমরা চোখে দেখি না। ২০১২ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সে বছর ঘরের ভেতরে কাঠ বা কয়লার স্টোভে রান্নায় সৃষ্ট দূষণের কারণে ৪৩ লাখ, ঘরের বাইরে সৃষ্ট বায়ুদূষণে ৩৭ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করে। পরবর্তীতে এ দূষণ আরো বাড়বে বলে প্রতিবেদনে আশঙ্কা করা হয়েছে। প্রতি আটজনের মধ্যে একজনের মৃত্যুর কারণ বায়ুদূষণ। উন্নয়নশীল দেশের ৯০ ভাগ মানুষের মৃত্যুর কারণ বায়ুদূষণ। ফলে বর্তমানে স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে রয়েছে বায়ুদূষণ।
প্রশাসনিক ও আইনি দুর্বলতার সুযোগে পরিবেশ বিপর্যয়ের অন্যতম উপাদান নিষিদ্ধ পলিথিন এখন সহজলভ্য। যত্রতত্র ব্যবহারের ফলে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, উর্বরতা হারাচ্ছে মাটি, বাতাসে ছড়াচ্ছে বিষ, ভরাট হচ্ছে নদী-খাল-বিল, পরিচ্ছন্নতা হারাচ্ছে সড়ক-গলিপথ। শুধু রাজধানীতেই প্রতিদিন ১ কোটি ৪০ লাখ পলিথিন ব্যবহার শেষে ফেলে দেয়া হয়। এ হিসেবে প্রতি মাসে ব্যবহার হচ্ছে ৪১ কোটি পিস। এতে ড্রেন-নালা, খাল-ডোবা ইত্যাদি ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পাড়া-মহল্লায় ড্রেনেজ ও সুয়ারেজ লাইন ভরাট হয়ে রাস্তার উপর দিয়ে ময়লা-আবর্জনা প্রবাহিত হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে যা মহামারী আকারে দেখা দিলে নগরবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অতিসূক্ষ্ম ইথিনিল পলিমার পলিথিন তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার হয় যা অপচনশীল। এতে করে জমির উর্বর শক্তি নষ্ট হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পলিথিনের মূল উপাদান ইথিলিন রেফ্রিজারেটরে রাখা মাছ-মাংস-ফল দূষিত করে।
দূষণমুক্ত পরিবেশ রক্ষায় আমাদের সাধ্যের মধ্যে আছে এমন অনেক করণীয় বিষয়ই রয়েছে। যেমন- বৃক্ষনিধন না করে বৃক্ষরোপণ করা, অন্যকে গাছ লাগানোয় উৎসাহিত করা। গাড়ির ক্ষতিকর কালো ধোঁয়া ও পাহাড় কাটা বন্ধ করা। ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্য পদার্থ যত্রতত্র না ফেলা। বাড়ির ফ্রিজ নিয়মিত সার্ভিসিং করা। এ রকম আরও অনেক বিষয় যা পরিবেশ ও পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর সেগুলো বন্ধ করা বা বন্ধ করার জন্য জনগণকে সচেতন করার শপথ নেয়ার অনুপ্রেরণা দেয়া। এ মুহূর্তে পরিবেশ দূষণে আমরা যা দেখছি তা হয়ত ভবিষ্যতের আরো বড় বিপর্যয়ের পূর্বাভাষ। তবে কঠোর ব্যবস্থা নিলে আমরা অবশ্যই অবস্থা বদলে দিতে পারি। সময় বেশি নেই; তবে এখনো যে সময় আছে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। এ অবস্থায় ব্যবস্থা নিতে দেরি করার মানে হচ্ছে সামনের সম্ভাবনার জানালা বন্ধ করে দেয়া।
বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে সাগরে পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বের ছোট ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো ঝুঁকির মুখে রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে সম্পূর্ণ তলিয়ে যেতে পারে ভারতের পূর্বাঞ্চল এবং বাংলাদেশ, মালদ্বীপ আর শ্রীলংকাসহ পৃথিবীর নিম্নভূমির দেশসমূহ। মালদ্বীপ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৫ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবে এটি পুরোপুরি তলিয়ে যেতে খুব বেশি সময় লাগবে না বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের।
বন ও পরিবেশ আইন ১৯৯৭ অনুসারে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত এলাকাকে নীরব এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও আবাসিক এলাকা, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোনো কিছুই রেহাই পাচ্ছে না যানবাহনের হাইড্রোলিক হর্ন, কারখানার উচ্চশব্দ, মাইক ও সিডি প্লেয়ারের উদ্যাম আওয়াজ থেকে। শব্দদূষণ মানব দেহের আর্টারিগুলো বন্ধ করে দেয়, এড্রনালিনের চলাচল বৃদ্ধি করে এবং হৃৎপি-কে দ্রুত কাজ করতে বাধ্য করে। ধারাবাহিক উচ্চ শব্দের মধ্যে থাকলে হার্টঅ্যাটাক ও স্ট্রোকের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ধারাবাহিক শব্দ দূষণ শ্রবণশক্তি নষ্ট করে এবং স্নায়ুর স্থায়ী ক্ষতি সাধন করে। রাজধানীতে বসবাসকারী মানুষের হার্ট, কিডনি ও ব্রেনের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। শব্দ দূষণে শিশুদের শ্রবণশক্তি হারানোসহ মেজাজ হচ্ছে খিটখিটে। এর প্রভাব তাদের লেখাপড়ার ওপর পড়ছে। যে কোনো ধরনের শব্দ দূষণই গর্ভবতী মায়েদের ক্ষতি করে দারুণভাবে। এছাড়া ঢাকা শহরের ৯০% যানবাহন ত্রুটিপূর্ণ যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
পানি দূষণ আধুনিক সভ্যতার আরেক অভিশাপ। নদীর তীরে গড়ে উঠেছে- চটকল, কাপড়কল, কয়লা ধোলাইকল, চিনিকল, কাগজকল, ভেষজ তেল তৈরি ও চামড়া পাকা করার কারখানা ইত্যাদি। বিভিন্ন শিল্পাঞ্চল থেকে ক্ষার, অ্যামোনিয়া, সায়ানাইড, ন্যাপথালিন, ফিনল ও বিবিধ রাসায়নিক পানিদূষক উপাদান এসে মিশছে। দূষণের কবলে বাংলাদেশের প্রায় সব নদীর পানি। ফসলের ক্ষেতে কীটনাশকের ব্যবহার ও কলকারখানার বর্জ্য নদীতে মিশে পানি দূষিত হয়। পানি দূষণের কারণে ডায়েরিয়া, টাইফয়েড, কলেরা, প্যারাটাইফয়েডজ্বর, বেসিলারী আমাশয়, জন্ডিস, পোলিওমাইলিটিস হেপাটাইটিস, অ্যামোবিক আমাশয়সহ বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। পানির অপর নাম জীবন। মানুষের শরীরের ৬৫ ভাগ পানি। পৃথিবীর ৭১ ভাগ পানি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো মানবসৃষ্ট পরিবেশ দূষণমূলক নানাবিধ অপরিণামদর্শী ক্রিয়াকলাপের কারণে প্রতিনিয়ত মানুষ বিশুদ্ধ পানির সংকটে থাকে।
লোকালয়ে যত্রতত্র স্থাপিত ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় কার্বন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয় এবং বায়ুতে তাপ বেড়ে যায়। যাতে পরিবেশ দূষণ ঘটছে ব্যাপক মাত্রায়। ইটভাটার মাটি সংগ্রহের জন্য কৃষিজমির উপরিভাগ কেটে ফেলার জন্য উর্বরতা শক্তিসম্পন্ন মাটি চলে যাচ্ছে যা পূরণ করতে দীর্ঘদিন বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়।
সারাদেশে সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) ১৪টি কলকারখানা রয়েছে। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো এর মধ্যে ৪/৫টি বাদে কোনটারই বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) নেই। এছাড়া পরিবেশ ছাড়পত্রও নেই বেশ কয়েকটিতে। এতে পরিবেশ দূষণ করে যাচ্ছে খোদ রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের পরিচালনাধীন এসব শিল্প কারখানা। দূষণ নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যবস্থা ও পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই যেসব কারখানায় তার মধ্যে রয়েছে- নরসিংদীর ঘোড়াশালে অবস্থিত ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লি. ও পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি, জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা ফার্টিলাইজার কো. লি. যার ইটিপি থাকলেও ত্রুটিপূর্ণ ও অকার্যকর, চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় অবস্থিত টিএসপি কমপ্লেক্স লি., ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি, চট্টগ্রামের উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি, রাঙ্গামাটির কর্ণফুলী পেপার মিলস প্রভৃতি।
মানুষ পৃথিবীর প্রাকৃতিক সম্পদ যেভাবে ভোগ করছে তাতে এই পৃথিবী টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে। পরিবেশ দূষণ সমস্যা নিয়ে আজ সব দেশই চিন্তিত। সভ্যতার অস্তিত্বই এক সংকটের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তোলার লক্ষ্যে যে কোনো মূল্যে পরিবেশ দূষণ রোধ করার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
একথা ঠিক যে শুধু আইন করে ও কোন সরকারের একক উদ্যোগ নিয়ে পরিবেশ রক্ষা সম্ভব নয়। অন্যের ঘাড়ে দায়িত্ব চাপানোর আগে নিজে সচেতন হই। আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রয়াস বিরাট শক্তিরূপে অর্জিত হতে পারে। সার্বিক দূষণের জন্য মানব সৃষ্ট কারণগুলো অনেকটাই দায়ী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ভয়াবহ পরিবেশ দূষণ ও অস্বাস্থ্যকর অবস্থার মধ্যে বসবাস করছে নগরবাসী। দূষণ রোধে বিভিন্ন সময়ে নেয়া পদক্ষেপ মেনে না চলায় প্রতিনিয়ত পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমরা আমাদের এই গ্রহের শ্রেয়তর সেবকে পরিণত হই। আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন যেমন- জালানি, পানি এবং অন্যান্য সম্পদের স্বল্প ব্যবহার এবং খাদ্য অপচয় কমিয়ে এনে, এগুলো আমরা সঠিকভাবে করতে পারি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দূষণমুক্ত পরিবেশ রক্ষায় আইনের প্রয়োগ জরুরি
আরও পড়ুন