পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার ঃ দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) ‘নখদন্তহীন’ করে না রেখে প্রতিষ্ঠানটিকে আরও শক্তিশালী করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, দুদক কারও বিরুদ্ধে কিছু বললে বলা হয়, একে ধরতে হলে তার অনুমতি নিতে হবে। তাকে ধরতে হলে ওর অনুমতি নিতে হবে, এমন হলে চলবে না। এমন আইন করতে হবে, যাতে দুদক স্বাধীনভাবে পরিচালিত হতে পারে। দুদককে নখদন্তহীন করে রাখলে চলবে না। দুদককে ‘স্বাধীনভাবে’ চলতে দিলে এ অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গতকাল (শুক্রবার) সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজের স্মরণ ও চলমান রাজনীতি নিয়ে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত এ আলোচনা সভায় বিএনপির রাজনীতিরও সমালোচনা করেন সুরঞ্জিত।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, সব দিক দিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে আর দুর্নীতিতে পিছিয়ে পড়বে এটা হয় না। দুদককে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এর জনবল আরও বাড়াতে হবে।
জার্মানভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) তাদের বার্ষিক ‘দুর্নীতির ধারণাসূচকে’ (সিপিআই) এবার বাংলাদেশের অবস্থান প্রকাশের দুদিন পর ক্ষমতাসীন দলের সিনিয়র নেতা সুরঞ্জিত এই মন্তব্য করলেন। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, তাদের সূচকে ২০১৫ সালে স্কোর আগের বছরের সমান হলেও ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের’ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থানের অবনমন ঘটেছে এক ধাপ।
টিআইবির ওই প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত পোষণ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, কোনো (দুর্নীতি দমনে) ইম্প্রুভমেন্ট হয়নি বলেই আমার ধারণা। এই ব্যাপারটা নিয়ে আমি কথাও বলতে চাই না। দুর্নীতির ব্যাপারটাতে আমরা টাচই করতে পারিনি।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত বলেন, উন্নয়ন ও গণতন্ত্র একসঙ্গে চলতে হবে। নেত্রী (শেখ হাসিনা) দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন; আর বলছেন সততাই আমার শক্তি, সততাই আমার সাহস। তিনি সততা করে যাবেন; আর আমরা দুর্নীতি করে দেশকে এক নম্বরে নিয়ে আসব এটা হবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি সংবিধানের বিধান বাদ দিয়ে ‘সং’ নিয়ে চলছে। বিএনপি নেতাদের মুখে সংবিধান নিয়ে কোনো মন্তব্য মানায় না। কারণ সংবিধান ধ্বংস করে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল। তবে মার্শাল ল’ নিয়ে তারা কোনো অভিমত দিলে সেটা ঠিক আছে। তাদের কাছ থেকে সংবিধান নিয়ে পরামর্শ নেয়া বা কথা শোনা বাতুলতা। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. আওলাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে মরহুম এমএ আজিজের ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কমিশনার ওমর বিন আব্দুল আজিজ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক নুরুল আমিন রুহুল, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী ও বঙ্গবন্ধু একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মিজি বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।