পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৯ শতাংশ সুদহারে দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে খেলাপিদের ঋণ পুনঃতফসিলের বিশেষ সুবিধা কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে বিষয়টির ওপর দ্বিতীয় দফা স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ আদেশ দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দেশনা দিয়েছে ব্যাংক নিয়ন্ত্রণকারী এ সংস্থাটি। নির্দেশনার ফলে আগামী দুই মাস ঋণ পুনঃতফসিল সুবিধা নিতে পারবেন খেলাপিরা। তবে এ সময় নতুন কোনো ঋণ নিতে পারবেন না তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঋণ পুনঃতফিসল ও এককালীন এক্সিট সংক্রান্ত বিশেষ নীতিমালা কার্যকরের নির্দেশনা দিয়ে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের 'ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ'।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়, বিআরপিডি সার্কুলার নং-৫, তারিখ ১৬ মে ২০১৯ এর ওপর হাইকোর্ট ডিভিশন কর্তৃক জারিকৃত স্থিতাবস্থার ওপর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গত ৮ জুলাই ২ মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দেন। ওই আদেশের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আপনাদের পরামর্শ দেয়া হলো।
এর আগে ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন এক্সিট সংক্রান্ত বিশেষ নীতিমালা জারি করা হয়। এতে মাত্র দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ৯ শতাংশ সরল সুদে এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ টানা ১০ বছর ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেয়া হয়।
যা নিয়ে বিভিন্ন মহলের নিন্দা ও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এরপর গত মঙ্গলবার ওই সার্কুলারের স্থগিতাদেশ চেয়ে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ আদালতে রিট করে। ওই রিটের শুনানি করে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই সার্কুলারের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা দেন, যা ২৪ জুন (সোমবার) পর্যন্ত এ স্থিতাবস্থা বহাল ছিল।
এরপর ২৪ জুন পুনরায় এ বিষয়ে শুনানিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ সুবিধার ওপর আরও দুই মাস স্থিতাবস্থা দেন হাইকোর্ট। এরপর গত ৮ জুলাই হাইকোর্টের ওই আদেশ দুই মাসের জন্য স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। তবে এ সময়ে ওই নীতিমালার সুবিধাভোগীরা নতুন করে ঋণ নিতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। অর্থাৎ, আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রজ্ঞাপনের সুবিধাভোগী ঋণ খেলাপিরা দুই মাস কোনো ঋণ পাবেন না। উচ্চ আদালতের প্রেক্ষিতে ১১ জুলাই এ নির্দেশনা দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।