পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সদ্য বিদায়ী (২০১৮-১৯) অর্থবছরে বড় খাতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে কৃষিপণ্য রফতানিতে। এ খাতে ৩৪ দশমিক ৯২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। কৃষিপণ্য রফতানি থেকে আয় এসেছে ৯০ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। বর্তমানে বিশ্বের ১২১টি দেশে বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রফতানি হচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তৈরি পোশাক খাত, প্লাস্টিক খাত, পেট্টোলিয়াম খাত এবং রেমিট্যান্সের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে কৃষি খাত। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) পণ্য রফতানি আয়ের এই হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কৃষিপণ্য খাতে ৭১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এ খাতে আয় হয়েছে ৯০ কোটি ৮৯ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে গত অর্থবছরের তুলনায় ৩৪ দশমিক ৯২ শতাংশ রফতানি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের রফতানি আয় ছিল ৬৭ কোটি ৩৬ লাখ ডলার।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সব ধরনের পণ্য রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল তিন হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এ খাতে আয় হয়েছে চার হাজার ৫৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় তিন দশমিক ৯৪ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ রফতানি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের রফতানি আয় ছিল তিন হাজার ৬৬৬ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, একক মাস হিসেবে চলতি বছরের জুনে রফতানি আয় হয়েছে ২৭৮ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬০ কোটি ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় জুনে রফতানি আয় কমেছে ২২ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এছাড়া একক মাস হিসেবে প্রবৃদ্ধি কম হয়েছে পাঁচ দশমিক ২৭ শতাংশ। গত বছরের জুনে এ আয় হয়েছিল ২৯৩ কোটি ডলার।
আলোচিত সময়ে তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয় এসেছে তিন হাজার ৪১৩ কোটি ৩২ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় চার দশমিক ৪২ শতাংশ বেশি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ খাতে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন হাজার ২৬৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এছাড়া আগের অর্থবছরের তুলনায় রফতানিতে এ বছর প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের পোশাক খাতে রফতানি আয় ছিল তিন হাজার ৬১ কোটি ৪৭ লাখ ডলার।
পাশাপাশি রফতানিতে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে প্লাস্টিক পণ্যেও। এ খাতে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ খাতে আয় হয়েছে ১১ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৯ দশমিক আট শতাংশ বেশি।
এদিকে আলোচিত সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি কমেছে। একই সঙ্গে অর্জন হয়নি লক্ষ্যমাত্রাও। অর্থবছর শেষে পাট ও পাটজাত খাত থেকে রফতানি আয় এসেছে ৮১ কোটি ৬২ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ কম। এছাড়া চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে ১০১ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কম হয়েছে নয় দশমিক ২৭ শতাংশ। প্রবৃদ্ধিও গত বছরের চেয়ে ছয় শতাংশ কমেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।