পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিভিন্ন এলাকায় সঞ্চালনের জন্য ‘চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ’ নামে একটি প্রকল্প নিয়েছে সরকার।
প্রকল্পটি আগামীকাল (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে বলে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান সৈয়দ মামুনুল আলম জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে ওই বৈঠক হওয়ার কথা।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের উদ্যোগে গৃহীত এ প্রকল্পটি প্রায় এক হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করবে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।
এই বিপুল ব্যয়ের মধ্যে এশিয়ান ইনফ্র্যাস্ট্রাকচার অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) প্রায় ৯২৬ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে যোগান দিচ্ছে। এছাড়া সরকারি তহবিল থেকে প্রায় ৩৫৪ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ৭৯ কোটি টাকা যোগান দেওয়া হবে।
২০২২ সালের জুনে প্রকল্পটি শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে ‘শিগগির’ প্রকল্পের কাজ শুরু করতে চায় বাস্তবায়নকারী সংস্থা। বৈঠকের জন্য তৈরি কার্যপত্রে দেখা যায়, আনোয়ারা উপজেলায় নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত করতে হবে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম শহর ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার ক্রমবর্ধমান আবাসিক, শিল্প ও বাণিজ্যিক চাহিদা পূরণে সঞ্চালন ব্যবস্থার অবকাঠামো উন্নয়নে এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের মধ্যে সরকার সবার কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা পূরণ করতে ২০১৬ সালে যে মাস্টারপ্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছিল তারই ধারাবাহিকতায় এ প্রকল্পটির মাধ্যমে সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রকল্পটির মাধ্যমে চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা, পটিয়া, হাটহাজারি এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে এই বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হবে। প্রকল্পটির প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে-আনোয়ারা থেকে নিউমুরিং আনন্দবাজার পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার ৪০০ কেভির ডাবল সার্কিট লাইন নির্মাণ। এরমধ্যে প্রায় ২০ কিলোমিটার ওভারহেড লাইন বাকী পাঁচ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল লাইন নির্মাণ।
হাটহাজারি থেকে রামপুর পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার ২৩০ কেভির ডাবল সার্কি আন্ডার গ্রাউন্ড কেবল লাইন নির্মাণ।
মধুনাঘাট থেকে খুলশী পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার ২৩০ কেভির ডাবল সার্কিট আন্ডার গ্রাউন্ড কেবল লাইন নির্মাণ। নিউমুরিং আনন্দবাজারে একটি ২৩০/১৩২ কেভির জিআইএস উপকেন্দ্র নির্মাণ। খুলশী ২৩০/১৩২/৩৩ কেভি জিআইএস উপকেন্দ্র নির্মাণ ও বিদ্যমান ১৩২/৩৩ কেভি এআইএস উপকেন্দ্র অসারণ করা এবং মদুনাঘাটে ২৩০ কেভি উপকেন্দ্রের বে সম্প্রসারণ দুটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।