পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হারাম শরীফে ওমরা পালন
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : সউদী বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সউদের আমন্ত্রণে পাঁচ দিনের সরকারি সফরে দেশটিতে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শুক্রবার বিকেল সোয়া ৪টায় সফরসঙ্গীদের নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। সউদী আরবের স্থানীয় সময় রাত ৮টায় জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান সউদী আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ওআইসিতে স্থায়ী প্রতিনিধি গোলাম মসীহ এবং সউদী সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। এ সময় শেখ হাসিনাকে সউদী সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ সুসজ্জিত দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা সউদী সফরকালে জেদ্দার রয়্যাল কনফারেন্স প্যালেসে অবস্থান করবেন। জেদ্দা পৌঁছানোর পর গতকাল রাতেই পবিত্র মক্কা নগরীর হারাম শরিফে (মসজিদ-আল-হারাম) ওমরাহ পালন এবং সেখানে ফজরের নামাজ আদায় করেন প্রধানমন্ত্রী। আজ শনিবার বিকেলে রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের চ্যান্সারি কমপ্লেক্স ও বাংলাদেশ ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। এরপর আগামীকাল রোববার জেদ্দা নগরীর আল আন্দালুসে সউদী বাদশাহর আল সালাম প্রাসাদে যাবেন শেখ হাসিনা। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন সউদী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ।
আল সালাম প্রাসাদেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বি-পক্ষীয় বৈঠক হবে সউদী বাদশাহ সালমানের। সেখানে দ্বি-পক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়া নিয়ে আলোচনা হবে উভয়ের মধ্যে।
প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে সউদী আরবে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সম্প্রসারণ, দ্বি-পক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য, বিভিন্ন প্রকল্পে সউদী সহযোগিতা বাড়ানো এবং হজ ব্যবস্থাপনার মতো বিষয়গুলো আলোচনায় প্রাধান্য পাবে। ওই দিন জেদ্দা রয়্যাল কনফারেন্স প্যালেসে বেশ কয়েকজন সউদী মন্ত্রী ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। একই দিন রয়্যাল প্যালেসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন সউদী সরকারের প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপমন্ত্রী সালমান বিন সুলতান আল সউদ এবং সউদী বাদশাহর রয়্যাল কাউন্সিলের উপদেষ্টা ইয়াসের আল মিয়া। এরপর সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী জেদ্দা থেকে বিশেষ ফ্লাইটে পবিত্র মদিনায় যাবেন ও সেখানে হিলটন হোটেলে অবস্থান করবেন। শেখ হাসিনা মদিনায় গিয়ে মসজিদে নববীতে আসর এবং মাগরিবের নামাজ আদায় করবেন; পরে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন। মঙ্গলবার সউদী সময় সকাল সাড়ে ১০টায় মদিনার প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন আব্দুল আজিজ বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তার ঢাকা পৌঁছানোর কথা।
এর আগে, ২০০৯ সালে তৎকালীন বাদশাহ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজের আমন্ত্রণে সউদী আরব সফর করেন শেখ হাসিনা। ২০১৩ সালের নভেম্বরেও ওমরাহ পালনের উদ্দেশে একবার সউদী আরব যান প্রধানমন্ত্রী। সউদী বাদশাহ সালমান দায়িত্ব নেয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যের এই তেলসমৃদ্ধ দেশে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এটাই প্রথম সফর। ছোট বোন শেখ রেহানা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এই সফরে শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক, প্রেস সচিব ইহসানুল করীম, বিশেষ সহকারী আবদুস সোবহান গোলাপ, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জনলুন আবেদীনও রয়েছেন সফরসঙ্গীদের মধ্যে। এছাড়া এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি ও বেক্সিমকোর ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে রয়েছেন ১০ সদস্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল। এ দলে আরো রয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শফিউল ইসলাম, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম, মেঘনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচলক মোস্তফা কামাল প্রমুখ। জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমানও এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।