পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজিবুল হক পার্থ : ভোটের মাঠের জনসমর্থন প্রতিফলিত হচ্ছে না ব্যালটে। হয়তো ভোটারদের হাতে ব্যালট যাচ্ছে না, অন্যাথায় সিল যেখানেই পড়–ক ঘোষণা করা হচ্ছে অন্য প্রার্থীকে। এই মহাযজ্ঞে চলছে চলমান ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোট। পরিষদের মেয়াদ ৫ বছর শেষ হওয়ায় দায়িত্ব হস্তান্তরের নিয়ম মানতেই এই ভোট, যার শেষ ধাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। এরই মধ্যে প্রচার-প্রচারণার সাথে শেষ হয়েছে ইসির আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি। এ পর্যন্ত ১১৫ জনের প্রাণহানি হলেও শেষ ধাপেও নেই বাড়তি নিরাপত্তা। তবে ইসির পক্ষ থেকে পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এ ধাপের ভোট গ্রহণের আগেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিদ্রোহীদের দাপটে সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও সরকারি দলের চাপে বিএনপির প্রার্থীরা এরই মধ্যে ভোট বর্জন করেছেন। প্রচারণার সময়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, ভাংচুর, সংঘর্ষ, মামলা, এজেন্টের কেন্দ্রে যেতে বাধাসহ নানা শঙ্কায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে দেশের ৭১০ ইউপির ভোটার।
এদিকে প্রচারণা শেষ হলেও সারাদেশে গতকালও বিক্ষিপ্ত সংষর্ঘ হয়েছে। এসব ঘটনায় শতাধিক প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে। নীলফামারি ও ঝিনাইদহের শৈলকূপার সব কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে সুষ্ঠু ভোটের ব্যপারে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে প্রার্থী ও ভোটাররা। পুলিশের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে শৈলকূপায় আ’লীগ প্রার্থী ও সাভারে বিএনপি প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। গাইবান্ধায় বিএনপির প্রার্থীকে ঘরে ঢুকে গুলি করেছে ছাত্রলীগ। ঝিনাইদহে আ.লীগ প্রার্থীর সমর্থকের গুলিতে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক আহত হয়েছে।
শুক্রবার ইসির উপ-সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের শেষ ধাপে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে ইসি। একইসঙ্গে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারেরও নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি।
শেষ মুহূর্তের প্রচারণা শেষে প্রার্থীরা সুষ্ঠু ভোটের ব্যবস্থাপনায় ব্যস্ত। ইসি সব প্রস্তুতি শেষ করেছে। আজ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে। তবে নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা-অজানা শঙ্কা বিরাজ করছে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে। কারণ ভোট পর্বে বেড়ে চলেছে প্রাণহানির সংখ্যা। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ধাপের ভোট গ্রহণে ব্যাপক সহিংস ঘটনার পর ষষ্ঠ ধাপের ভোট নিয়ে তাই ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া জাল ভোট ও ব্যালট ছিনতাইয়ের আশঙ্কাও করছেন প্রার্থীরা।
এ ধাপেও ২৮ জন একক প্রার্থী হিসেবে ভোটের আগেই নির্বাচিত হয়েছেন। তবে আগের পাঁচটি ধাপে বিনা ভোটে নির্বাচিত ১৯৩ জনের সবাই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী হলেও ষষ্ঠ ধাপে দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে গোলযোগ-সহিংসতার মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ের দলীয় এ নির্বাচনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গতকাল মাঠে নেমেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনাসংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়েছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ২০ জন করে নিরাপত্তা সদস্য নিয়োজিত রাখা হচ্ছে এবারেও। ভোটের আগের দুই দিন থেকে ভোটের পরদিন পর্যন্ত চার দিন থাকবেন তারা। নিরাপত্তা পরিকল্পনায় উপজেলাভিত্তিক মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তিন প্লাটুন করে বিজিবি রাখা হয়েছে। সঙ্গে থাকবে র্যাবের তিনটি টিম। প্রতি ইউনিয়নে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সমন্বয়ে একটি করে মোবাইল এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে।
অন্যদিকে ইউপিতে ভোট কেন্দ্র দখলের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। প্রায় সব ইউপিতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা এ শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।