পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি’র কিছু নেতা ভারত প্রেমিক হওয়ায় ব্যস্ত গয়েশ্বর
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমাদের দলের মধ্যে কিছু পাগল রয়েছে, যারা ভারত প্রেমিক হওয়ায় ব্যস্ত। আমি তাদের উৎসাহিত করি- তোমরা ভারত প্রেমি হও, তবে দেশটাকে জলাঞ্জলি দিয়ে নয়, জাতীয় সত্তাকে অক্ষুণœ রেখে। তিনি বলেন, ভারত প্রেমিক হয়ে হাসিনা দেশটাকে নরক বানিয়ে ফেলেছে, ভারত প্রেমিক হয়ে তিনি ক্ষমতায় আছেন এবং ক্ষমতায় থাকতে চান। কিন্তু, দেশপ্রেমিক গোষ্ঠী একই পন্থায় ক্ষমতায় যেতে হবে, এটা দেশপ্রেমের লক্ষণ নয়। ভারত প্রেমের অর্থ যদি বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার লক্ষ্য হয়, তবে আমি হেট ইউ (ঘৃণা করি)।
গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বন্ধু দল আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নিজেদেরকে দুর্বল ভাবার দরকার নাই। এই দুর্বল লোকেরাই দেশটাকে স্বাধীন করেছি। যদি রক্ত দিয়েই স্বাধীনতা এনে থাকি তাহলে উপরে স্বাধীনতার কথা বলে পরাধীনতার গ্লানি নিয়ে ধুঁকে ধুঁকে মরার চাইতে একদিনে মরা ভাল। পরাধীনতার কাছে মাথানত করেননি বলেই জিয়াউর রহমানকে জীবন দিতে হয়েছে। কিন্তু, জীবন দেওয়ার পরও তিনি এখনও অনেক বেশি শক্তিশালী। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা নিরাপদে থাকার জন্য প্রতিবেশীদের স্বার্থে বেগম খালেদা জিয়াকে জেলখানায় নেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। এটা তারা করতেই পারে। কিন্তু, বেগম খালেদা জিয়া যাদের লালন পালন করলেন, যাদের বড় নেতা বানালেন, যারা নিজেদের সম্পদের পরিমাণ হিসাব করে বলতে পারে না- তারা কী এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত নাই? যদি না থাকে তাহলে জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক বেগম খালেদা জিয়ার দিকে তাকানোর সাহস পায় তারা কী করে?
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জিয়ার আদর্শ ও জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের কিছু লোক বিত্ত বৈভবের মালিক হয়েছেন। এখন তারা এই বিত্ত-সম্পদ রক্ষায় সচেষ্ট। এই জন্যই তো বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে যেতে হবে। খালেদা জিয়াকে রক্ষার জন্য তাদের কোনো চিন্তা নাই। হাজার হাজার নেতাকর্মীর যেন তাদের ওই সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব পড়েছে। ‘না’। আমাদের এ দায়িত্ব না। শহীদ জিয়ার দল বিএনপি’র নাভি হচ্ছেন চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। দেশ এবং তাকে মুক্ত রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব।
‘গয়েশ্বর চন্দ্র রায় একজন দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী সৈনিক। কিন্তু, তাকে বিভিন্ন সময় ‘র’-এর এজেন্ট বলা হলেও বিএনপি’র পক্ষ থেকে কোনো প্রতিবাদ করা হয় না।’ বিশেষ অতিথি জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের এমন বক্তব্যের জবাবে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘কারা আমাকে ‘র’-এর এজেন্ট বলে জানা নেই। তবে আমি এতে মাইন্ড করি না। কারণ, জন্মই যে আমার আজন্ম পাপ।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আমাদের দেশে দাড়ি-টুপিওয়ালা ‘র’-এর এজেন্টের অভাব নাই। শেখ হাসিনা ও এরশাদের মতো লোক যেখানে রয়ে গেছেন-ে সখানে আমার মতো লোককে ‘র’ পান্তা ভাতের কাঁচা মরিচ হিসেবে ব্যবহারে সম্মত হবে কিনা সন্দেহ।
জাতীয়তাবাদী বন্ধু দলের সভাপতি শরীফ মোস্তাফাজামান লিটুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, জাতীয় পার্টি (জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিঙ্কন, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বিএনপিরসহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।