পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে নিয়োগ পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৬৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। ১৮ হাজার ৬৩ জন আবেদন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেন ১১ হাজার ৪২৬ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ৬ হাজার ৬৩৬ জন। ১০০ নম্বরের এমসিকিউ টাইপ পরীক্ষা গতকাল সকাল ১০টায় শুরু হয়ে ১১টায় শেষ হয়।
গত ২৮ মার্চ ৩ হাজার ৬১৬ সিনিয়র স্টাফ নার্স পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় পিএসসি। এরপর থেকে আন্দোলনে নামে বেকার নার্সদের দুইটি সংগঠন। বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বেকার নার্সেস এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ বেসিক গ্রাজুয়েট নার্সেস সোসাইটির ব্যানারে অনেকেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। পরীক্ষার দিনেও একটি অংশ পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে নার্সিং ইনস্টিটিউটের সামনে অবস্থান নেয়।
বাংলাদেশ বেসিক গ্রাজুয়েট নার্সেস সোসাইটির সভাপতি রাজীব জানান, আমার পরীক্ষা বয়কট করে অন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। সকাল থেকে আমার বেলা ৩টা পর্যন্ত নার্সিং ইনিস্টিউটের সামনে আমরা অবস্থান করি। পূর্বের ন্যায় ব্যাচ, মেধা ও জ্যেষ্ঠতারি ভিত্তিতে নার্স নিয়োগ না দেয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আজ শনিবার সকাল ১১টায় আমার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করবো।
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য পিএসসি ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এটা নিয়ে রাজনীতি করার কোন সুযোগ নেই। অহেতুক উসকানির মুখে চেষ্টা করা হচ্ছিল যাতে পরীক্ষা না হয়। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয় হয়ে গেছে। এর দ্বারা কার লাভ হলো? পরীক্ষা দেয়া ছাড়া তো চাকরি হবে না।
তিনি বলেন, কিছুসংখ্যক পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। এতে তারা নিজেদের ক্ষতি করেছে। পিএসসির পরীক্ষা ছাড়া দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদা দেয়ার নিয়ম নেই। আগে যারা কিছুসংখ্যক নিয়োগ পেয়েছিলেন তারা এখন অনিশ্চিয়তায় রয়েছে। তাই এই নিয়োগের পর আবার পিএসসিকে দশ হাজার নার্স নিয়োগের অনুরোধ জানাবো। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, শুধু তাই নয়, নার্স সংকট সমাধানের জন্য ১০ হাজারের পরেও আরো নার্স নিয়োগ দেয়া হয়।
তিনি জানান, নার্সদের প্রতি সরকার সহানুভূতিশীল। ১০০০ নম্বরের পরীক্ষায় পরিবর্তে নার্সদের পরীক্ষা খুবই শিথিল করে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার ১০০ নম্বরের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মোখিক পরীক্ষার নেয়া হবে। এরপর তাদের নিয়োগ দেয়া হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যে সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা মানুষকে চাকরি দিতে চাইছি, তাদের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করতে যাচ্ছি। আর তারা রাজনৈতিক ফয়দা লুটতে চাচ্ছেন। তারা কতজন ডাক্তার-নার্স নিয়োগ দিয়েছেন। তারাই তো সংকট তৈরি করে গেছেন। যারা এই উসকানি দিয়েছেন, এটা অনাকাক্সিক্ষত। এটা আশি করা যায় না। নার্সদের প্রতি সরকার সহানুভূতিশীল বলেই ১০ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।