প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর সাথে তার কন্যার বিয়ে শাদীর কোনো সম্পর্ক নেই। পিতার মৃত্যুর দিনও যদি বিয়ে দেয়া হয়, তবে এ বিয়ে শরীয়তসম্মত ও স্বাভাবিক হবে। তবে শরীয়তের সামাজিক আচরণ বিধিতে আছে যে, কোনো মৃত্যুর জন্য প্রকৃতিগত শোক পালনের সময়সীমা তিন দিন। এ তিনটি দিন বিয়ে শাদী বা বড় ধরনের কোনো সামাজিক কর্ম-সম্পাদন না করাই মানবিক প্রকৃতির দাবি। এরপর আসে কন্যা বা বরের মানসিক অবস্থার কথা। পিতা-মাতার মৃত্যুর ক’দিন পর তারা বিয়ে শাদীর পর্যায়ে যাবে তা নির্ধারণের অধিকারও শরীয়ত সংশ্লিষ্টদের দিয়েছে। ঐচ্ছিকভাবে তারা এসব নিয়ে দ্রুত বা বিলম্বিত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আর চার মাস দশদিনের যে মেয়াদ তা একজন স্বামী হারা স্ত্রীর বেলায়ই প্রযোজ্য। স্বামীর মৃত্যুর পর কেবল স্ত্রীরাই এ মেয়াদ পালন করবে, পরিবারের অপর কোনো সদস্য নয়। স্ত্রীরা এ মেয়াদকাল স্বামীর গৃহেই রাত্রিযাপন করবে এবং এ মেয়াদের মধ্যে নতুন স্বামী গ্রহণ করতে পারবে না।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।