পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি মিজানকে সোমবার সকাল ১০টায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্ল্যা।
এর আগেই দুদকে হাজির হওয়ার জন্য সময় চেয়ে রোববার দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তার কাছে চিঠি দিয়েছেন বলে কমিশনের জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে।
চিঠিতে ডিআইজি মিজান বলেন, “ব্যক্তিগত কারণে আমার আরো কিছুদিন সময়ের প্রয়োজন। পরবর্তী যে কোনো সময় বক্তব্য দিতে আপত্তি থাকবে না।”
ডিআইজ মিজানের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে ।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২৪ জুন ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। তার আগে তদন্ত পর্যায়ে অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে তৎকালীন অনুসন্ধান কর্মকর্তা এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাক ঘুষ দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমের কাছে মিজান দাবি করেন।
তবে এনামুল বাছির ডিআইজি মিজানের অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, তার কণ্ঠ নকল করে ডিআইজি মিজান কিছু 'বানোয়াট' রেকর্ড একটি টেলিভিশনকে সরবরাহ করেছেন।
এসব অভিযোগ উঠার পর ইতোমধ্যে এই দুই জনই তাদের নিজেদের সংস্থা থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। আর ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে দুদক।
দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্ল্যার নেতৃত্বে তিন সদস্যের এই দলের অপর দুই সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।
এরই মধ্যে অনুসন্ধান দল সাক্ষী হিসেবে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ নিয়ে সংবাদ প্রচার করা এটিএন নিউজের সাংবাদিক ইমরান হোসেন সুমনের বক্তব্য নিয়েছে দুদক।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩ মে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রথম ডিআইজি মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। প্রথমে অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী; পরে এই দায়িত্ব পান এনামুল বাছির।
ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠার গত ১২ জুন তাকে সরিয়ে দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। অনুসন্ধান শেষে তিনি ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করেছেন।
মামলায় তিন কোটি সাত লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং তিন কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয় ডিআইজি মিজান, তার স্ত্রী, ভাই ও ভাগ্নের বিরুদ্ধে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।