পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ডিএসই ও সিএসই পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের পুঁজিবাজারে মন্দা চলছে। টানা দর পতনে ইতোমধ্যে অসংখ্য বিনিয়োগকারী সব হারিয়ে বাজার থেকে ছিটকে পড়েছেন। এ বাজার স্থিতিশীল করতে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে বিশেষ কোনো প্রস্তাব করেননি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তবে সরকারের নেওয়া নানা ব্যবস্থার কারণে পুঁজিবাজার চাঙ্গা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অর্থমন্ত্রী।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত বাজেট প্রস্তাবে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে ক্ষতিগ্রস্ত ও মার্জিন ঋণগ্রহিতা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সুদ মওকুফজনিত কর থেকে অব্যাহতি প্রদান ছাড়া আর কোনো সুবিধার প্রস্তাব করেননি অর্থমন্ত্রী। তার এ প্রস্তাবের ফলে বিনিয়োগকারীরা কীভাবে লাভবান হবেন তাও স্পষ্ট নয়। তবু বাজার নিয়ে আশাবাদী তিনি। বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের পুঁজিবাজার এখন নিয়মমাফিক পরিচালিত হচ্ছে এবং স্থিতিশীলতা এসেছে। একইসঙ্গে ফটকাবাজির (কারসাজিমূলক লেনদেন) অবসান এবং নির্মূল হয়েছে। এ কারণে শেয়ারবাজার এবার ‘জেগে উঠবে’। শেয়ারবাজারের শৃঙ্খলা বজায় রাখা, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষা, সিকিউরিটিজ আইন প্রতিপালন ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নানা সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। পুঁজিবাজারে সরকারের অর্জন সম্পর্কে বলতে গিয়ে বাজেট প্রস্তাবে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য গঠিত সহায়তা তহবিল হতে এ পর্যন্ত ৬৩৭ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, অভিহিত মূল্যে আইপিও’র জন্য ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতি এবং প্রিমিয়ামসহ আইপিও’র জন্য বুক বিল্ডিং পদ্ধতির বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। বছরে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা উত্তোলিত হয়ে নানা খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে।
তিনি আরও বলেন, কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানে বিএসইসি’র সঙ্গে ভারতের সিকিউরিটিজ ও একচেঞ্জ বোর্ডের একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, যা কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। এছাড়া, পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য এডিবির সহায়তায় একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। নিয়মমাফিক পরিচালিত পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা এসেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।