পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
স্টাফ রিপোর্টার ঃ ২০১৬-২০১৭ অর্থ-বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষাখাতে মোট ৪৯ হাজার ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। বিগত পাঁচ বছরের হিসাবে সামগ্রিক শিক্ষা খাতে এটাই সর্বোচ্চ বরাদ্দ। অর্থমন্ত্রী গতকাল (বৃহস্পতিবার) জাতীয় সংসদে তার বাজেট বক্তব্যে শিক্ষাখাত সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার কথা জানান। গত বছর এই খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৭ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বেড়েছে ১১ হাজার ৯০৫ কোটি টাকা। আর শিক্ষাখাতে বরাদ্দ মোট প্রস্তাবিত বাজেটের ১৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আগামী অর্থ-বছরের জন্য মোট ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেখা যায় শিক্ষা খাতভুক্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ২৬ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা।
যা গত বছর সংশোধিত বাজেটে ছিল ২০ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা। নতুন অর্থবছরে বরাদ্দ বেড়েছে ৬ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গতবারের চেয়ে বেড়েছে ১ দশমিক ৩২ শতাংশ। অনুন্নয়ন ব্যয় ২০ হাজার ৬৮১ কোটি, উন্নয়ন ব্যয় ৬ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা। অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২২ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। গত বাজেটে যার পরিমাণ ছিল ১৬ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা। এবার প্রাথমিক গণশিক্ষা খাতে বরাদ্দ বেড়েছে ৫ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। গতবারের চেয়ে এখাতে বরাদ্দ বেড়েছে ১ দশমিক ৩১ শতাংশ। অনুন্নয়ন ব্যয় ১৪ হাজার ৪৫২ কোটি এবং উন্নয়ন ব্যয় বরাদ্দ ৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। তবে গত বছরের মতো এবারও প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কেও একীভূত করে ‘শিক্ষা ও প্রযুক্তি’ খাত করা হয়েছে। শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতেই বাজেটের সর্বোচ্চ বরাদ্দ।
এ খাতে ৫২ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা মোট বাজেটের ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। গতকাল জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী শিক্ষা খাতের প্রস্তাবিত এ বাজেট উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে চলতি অর্থ-বছরেও বিনামূল্যে বই বিতরণ, উপবৃত্তি, সৃজনশীল মেধা অন্বেষণসহ নানা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বিদ্যালয়হীন ১ হাজার ১২৫টি গ্রামে নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।
উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করে কারিকুলাম প্রণয়ন, বই মুদ্রণ, ও শিক্ষক নিয়োগের কাজ সম্পন্ন করেছি। এ উদ্দেশ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৪ হাজার ৮৯৫ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫ হাজার ১৭টি বিদ্যালয় পুনঃনির্মাণ ও মেরামতের ফলে বিদ্যালয় এবং শিক্ষার্থীর অনুপাত হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষায় ১ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে। ষষ্ঠ থেকে স্নাতক পর্যন্ত যার সংখ্যা ৩৮ লাখ ১৬ হাজার। মোট ১ কোটি ৬৮ লাখ শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাচ্ছে। যার ৭৫ শতাংশই ছাত্রী। কারিগরি এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৭ হাজার ৫০০ তে উন্নীত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।