Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কৃষি সুরক্ষার দিক-নির্দেশনা নেই -মেনন

প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘সম্মুখযাত্রার বাজেট’ বলে অভিহিত করলেও সরকারের শরীক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধির বিষয়টি ইতিবাচক। তবে গ্রামীণ ও নগর দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষের জন্য রেশনিং কর্মসূচি চালুর ঘোষণা না দেওয়া হতাশাজনক। কৃষকের পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের ব্যবস্থা নেই। বাজেট নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল দলের সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বিবৃতিতে আরো বলেন, এটি ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার প্রথম বাজেট। আগামী ৫ বছরের অর্থনৈতিক ও জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার দিক-নির্দেশ করবে। তাই কেবলমাত্র এক বছরের নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদী সম্মুখযাত্রার ভিত্তি হিসেবে প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু বিষয়ের পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে।
বাজেট সম্পর্কে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, সাম্রাজ্যবাদী অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর খপ্পর থেকে বেরিয়ে এসে নিজস্ব অর্থায়নে উন্নয়ন নিশ্চিত করা জরুরি। তবে করের বোঝা চাপিয়ে যেন সাধারণ জনগণকে ভারাক্রান্ত করা না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখাটাও জরুরি। এক্ষেত্রে করের আওতার অনেকগুলো ক্ষেত্র সংশোধন ও ব্যয়ের ক্ষেত্রেও কিছু কিছু ক্ষেত্রের অগ্রাধিকার পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু খাতে অহেতুক করারোপ করে সাধারণ মানুষকে অস্বস্তির মধ্যে ফেলা হলেও আগের বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় সম্পদের বৈষম্য কমানোর লক্ষ্যে সম্পদ কর আরোপের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় নি। এর ফলে বিদ্যমান সম্পদ বৈষম্য কমবে না। আরো বলা হয়, বাজেটে স্থানীয় শিল্পখাতে প্রণোদনা দেওয়া হলেও একশ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ঘোষণা কেবল বিদেশিদের বিনিয়োগকেই সুরক্ষা দেবে। সেখানে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সুরক্ষার সুস্পষ্ট কোনো দিকনির্দেশ করা হয়নি। একই সাথে কৃষকের ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও ঠিক কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা নির্দিষ্ট করা হয় নি। অতীতের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখছি, দেশের কৃষকরা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করলেও তারা নিজেরা ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত। ক্রমাগত বঞ্চনার শিকার হয়ে কৃষিপেশা থেকে কৃষকরা সরে আসতে শুরু করলে কার্যত বাংলাদেশের অর্থনীতি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবেÑ এই সত্যও বিবেচনায় রাখতে হবে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধির বিষয়টি ইতিবাচক, তবে গ্রামীণ ও নগর দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষের জন্য রেশনিং কর্মসূচি চালুর ঘোষণা না দেওয়া হতাশাজনক। একইসাথে সমতলের আদিবাসীদের জন্যও কোনো বাজেট বরাদ্দ করা হয় নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষি সুরক্ষার দিক-নির্দেশনা নেই -মেনন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ