Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যেমন বাজেট চান সাধারণ মানুষ

প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন হয়েছে। জাতীয় সংসদে চলতি বছরের এ বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল আব্দুল মুহিত। বাজেটের আকার যত বড়ই হোক না কেন মানুষ নিত্যপণ্যে দাম ক্রয়ক্ষমতার ভেতর দেখতে চান।
কৃষকরা চান উৎপাদনে বাড়তি সুবিধা। অথচ এবাও বাজেটে কৃষিতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে। মতিঝিলের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবুল হাসান বলেন, দেশের মানুষের স্বাভাবিক ভাবে বাঁচতে চায়। ভয়মুক্ত থাকতে চায়। এই প্রত্যাশা স্বাভাবিক। এবারের বাজেট যাই হোক না কেন, দ্রব্যমূল্য যাতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সেটা সরকারের খেয়াল রাখা উচিত। আর মানুষের মধ্যে ভীতি দূর করা উচিত। সামনে রমজান উল্লেখ করে তিনি বলেন, রমজানের আগের সব পণের মূল্য বেড়েছে। আবার বাজেচ মানেই পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি। এই ভীতিতে আছি। যাতে মানুষের কষ্ট না হয় সে জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমাতে হবে। তা হলেই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হবে। গৃহিণী সাবিনা ইয়াসমীন রুমা বলেন, বাজেট মানেই পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি। মানুষের মধ্যে এই যে ভীতি তা দূর করতে হবে। মোবাইলের ওপর কর বসানো উচিত নয়। ঘরের কাজে গৃহিণীদের মূল্যায়ন হওয়া উচিত। কলেজের শিক্ষার্থী নাজমা বলেন, এবারের বাজেটে শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার। কারণ শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষাখাত উন্নত হলে দেশ এগিয়ে যাবে। কোচিং সেন্টারের নামে শিক্ষা ব্যবসা বন্ধের দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য চাই। তিনি আরো বলেন, শিক্ষাখাতের পাশাপাশি চিকিৎসা খাতেও বরাদ্দ বাড়ানো দরকার। কারণ দেশের প্রত্যেকটি হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু প্রত্যেকটি হাসপাতালেই ডাক্তার কম। তাই হাসপাতালগুলোতে সেবার মানও কম। এ ছাড়াও হাসপাতালগুলোতে রোগীর চেয়ে আসন কম। এজন্যও রোগীকে সঠিকভাবে সেবা প্রদান করা সম্ভব হয় না। তাই চিকিৎসা খাতে বরাদ্দ বেশি দেয়া উচিত।
ঢাকা মেট্রোপলিটন বারের সদস্য এ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, মোবাইল ও ইন্টারনেটে কর বৃদ্ধি করে কম বয়সী ছেলেমেয়েদের মোবাইল ব্যবহারে নিরুস্বাহী করা উচিত। যে ভাবে ফেসবুক ব্যবহার শিশু কিশোরদের মধ্যে বেড়ে গেছে তাতে আগামী প্রজন্মকে চরম মূল্য দিতে হবে। আনোয়ার হোসেন বলেন, এবারের বাজেট উচ্চবিলাসী হোক, সমস্যা নেই। তবে দ্রব্যমূল্য যাতে না বাড়ে সে দিকে নজর রাখা দরকার। ঢাকার রিকশাচালক হাসমত হোসেন বলেন, আমরা গরিব মানুষ। বাজেট তেমন একটা বুঝি না। প্রতি বছর বাজেট আসলেই টিভিতে দেখি। বাজারে গেলেই দেখি দাম বাড়ে। বাজেট মানে দাম বৃদ্ধির কৌশল। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের আয় সীমিত। অথচ বাজেটের পর বাজারে দ্রব্যমূল কয়েকগুণ বাড়ানো হয়। আমার মনে হয় বাজেট মানেই বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ানো। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রহমান বলেন, সরকারের উচিত পণ্যমূল্য নির্ধারণ করে দেয়া উচিত। বাজেটে চাল আমদানীর ওপর ২৫ ভাগ কর বসিয়েছে। কৃষকের কথা চিন্তা করে বিদেশ থেকে চাল আমদানীতে শতকরা একশ ভাগ কর বসানো উচিত। এতে দেশের কৃষকরা পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবে। অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আলম আনছানী বলেন, ব্যাংকে জমানো অর্থের ওপর বেশি সুদ ধরা উচিত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যেমন বাজেট চান সাধারণ মানুষ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ