Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার কার্যক্রম ২৩ জুন পর্যন্ত মুলতবি

প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের সময় পিছিয়েছে। সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তা মঞ্জুর করে ২৩ জুন পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি করা হয়। ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের নির্ধারিত দিনে হাজির হন খালেদা জিয়া। আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি সময় আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এর আগে ১০টা ৫৫ মিনিটে আদালতে খালেদা জিয়া হাজির হন। খালেদা জিয়া আদালত কক্ষে প্রবেশের এক মিনিট পর নিজ আসনে বসেন বিচারক। এর পর খালেদা জিয়া বসার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করেন। বিচারক অনুমতি দিলে তিনি এজলাসের সামনে একটি চেয়ারে বসেন। বেলা ১১টা ৫ মিনিটে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া, আবদুর রেজাক খান প্রমুখ। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল। শুরুতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী আবদুর রেজাক খান আদালতে বলেন, আদালত, এ মামলায় ৩২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদের পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরার দু’টি পৃথক আবেদন আপনি খারিজ করে যে আদেশ দিয়েছেন, সে বিষয়ের ওপর লিভ টু আপিল নিষ্পত্তির জন্য আপিল বিভাগে বিচারাধীন। বিচারাধীন থাকা অবস্থায় বিচারিক আদালতে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। মামলার কার্যক্রম পরিচালনা সঠিক হবে না। তাই উচ্চ আদালতে নিষ্পত্তি পর্যন্ত সময় দেয়া হোক। এ সময় আদালত বলেন, এ আবেদনের ওপর রাষ্ট্রপক্ষের কোনো বক্তব্য আছে কি না। তখন মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতে বলেন, এ আদালতের খারিজ আদেশ হাইকোর্টে বহাল রাখা হয়েছে। ফৌজদারি আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থন চেয়ে বক্তব্যের ওপর মামলার কার্যক্রম চলতে বাধা নেই। এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আমরা চেম্বার কোর্ট আদালতে লিভ টু আপিল করেছি। চেম্বার কোর্ট পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেবেন। তাই এটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হোক। আদালতের নির্দেশ মেনে তিনি আদালতে হাজির হয়েছেন। আদালতকে সম্মান দেখিয়েছেন।
উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক বলেন, আমার কাজ হচ্ছে ন্যায়বিচার হচ্ছে কি না, সেটা দেখা। ন্যায়বিচারকে দৃশ্যমান করাই আমার দায়িত্ব। আমার আদেশের বিষয়ে উচ্চ আদালত কী সিদ্ধান্ত দেন, সেটা আমি দেখতে চাই। এতে করে আমিও বুঝব, আমি সঠিক বিচার করতে পারছি কি না। আমারও শেখার সুযোগ থাকবে। এ পর্যায়ে আদালত চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিষয়ে আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার আবেদন নিষ্পত্তির জন্য সুযোগ দিয়ে এ মামলার কার্যক্রম ২৩ জুন পর্যন্ত মুলতবি করেন।
এদিকে, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আদালতে হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন খালেদা জিয়া। এ আবেদন মঞ্জুর করে তাঁর অনুপস্থিতিতে এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলবে বলে নির্দেশ দেন আদালত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার কার্যক্রম ২৩ জুন পর্যন্ত মুলতবি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ