পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বর্তমান সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ইন্টারনেট ও ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দিয়েছেন। এজন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বিপরীতে ৪ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন। যা গতবছর ছিল ৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
ডিজিটাল উন্নয়ন কাঠামো উন্নয়ন : প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে হাইটেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, আইটি ভিলেজ স্থাপনের ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। নির্মাণাধীন যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ২০১৬ সালের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা যাবে। জাতীয় তথ্য সম্ভারকে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক করার লক্ষ্যে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে টিয়ার ফোর ডাটা সেন্টার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ই-গভর্নেন্স কার্যক্রম বাস্তবায়নে ইন্টারঅপারেবিলিটি সমস্যা দূরীকরণ ও প্রক্রিয়া সহজসাধ্য করার জন্য ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার উন্নয়নের কাজ করা হচ্ছে। পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল এর ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন স্থাপনের কাজও এগিয়ে চলছে। ইন্টারনেট সেবার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের সর্বত্র দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সকল মেট্রোপলিটন শহর, জেলা শহর ও উপজেলাগুলোতে বেইজ ট্রান্সমিশন স্টেশন (বিটিএস) স্থাপন, ৩০০ কিমি অপটিক্যাল ফাইবার এবং বিটিএস সমূহের আন্তঃসংযোগের জন্য দেশব্যাপী ট্রান্সমিশন যন্ত্রপাতি স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়া দুর্গম ১২৮টি উপজেলার ১ হাজার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল নেটওয়ার্ক এবং ৫ টি জেলার ১২টি দুর্গম উপজেলায় রেডিও লিঙ্ক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়া মহাকাশে বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ প্রস্তুত, উৎক্ষেপন ও গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপনে একটি বিদেশি কোম্পানির সাথে চুক্তি করা হয়েছে। সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ এবং গ্রাহসেবার মানোন্নয়নে বাজেট বক্তৃতায় মুহিত বলেন, সাইবারস্পেস ও ইন্টারনেট ভিত্তিক অপরাধ পর্যবেক্ষণ ও প্রতিরোধসহ সকল প্রকার তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইন্টারনেট সেইফটি সলিউশন নামে একটি মনিটরিং ও রেগুলেটরি ব্যবস্থা স্থাপনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যেভাবে আমরা সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েছি, তাতে এ বিষয়ে আমাদের দৃঢ় ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। এছাড়া গ্রাহক সেবার মানোন্নয়ন এবং গ্রাহকের ফোন নাম্বার সুরক্ষার লক্ষ্যে মোবাইল নাম্বার পোর্টেবিলিটি লাইসেন্স প্রদানের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। এ বিষয়ে একটি গাইডলাইন সম্প্রতি অনুমোদিত হয়েছে।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা। গতবছর এই খাতে বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এবছর এই খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে এক হাজার ১৫৮ কোটি টাকা। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রধান দুই বিভাগের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে নতুন অর্থ বছরে উন্নয়ন ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে এক হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা এবং অনুন্নয়ন ব্যয় ৯৭৯ কোটি টাকা। অন্যদিকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে উন্নয়ন ব্যয় এক হাজার ৬০৬ কোটি টাকা এবং অনুন্নয়ন ব্যয় ২২৯ কোটি টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।