পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক বলেছেন, দালালদের কথা শুনে আপনারা প্রতারিত হবেন না। বরং নিয়মকানুন মেনে বিদেশে যান। দালালরা আজকাল ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়াসহ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে লোক পাঠাচ্ছে। এমনকি সিরিয়া গিয়ে আইএসের সঙ্গেও কাজ করতে যাচ্ছে অনেকে। এই দেশগুলোতে কোনোভাবেই যাওয়া উচিত নয়। কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতি এমন অবস্থায় যায়নি যে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে যেতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অভিবাসন ব্যয় নিয়ে আয়োজিত এক গণশুনানিতে পররাষ্ট্রসচিব এ কথা বলেন।
চলতি বছরের গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (জিএফএমডি) বৈঠককে সামনে রেখে যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জিএফএমডির জন্য গঠিত নাগরিক কমিটি ও রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি রিসার্চ মুভমেন্ট (রামরু)।
অনুষ্ঠানে বিদেশে যাওয়ার খরচ যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনা এবং নিরাপদ অভিবাসনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন এই খাতের বিশেষজ্ঞরা। আন্তর্জাতিক ফোরামেও বিষয়গুলো আলোচনা হওয়া উচিত বলেও মনে করেন তাঁরা।
অনুষ্ঠানে বিদেশ ফেরত অন্তত ১০ জন প্রবাসী তাদের দুরবস্থার কথা তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, দালালদের কারণে অভিবাসন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। বিদেশে গেলেও এই টাকা তুলতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রতারিত বাংলাদেশিদের কথা শুনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ বলেন, আপনাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে আমরা অপরাধী। দুঃখ পাচ্ছি। আমাদের যেমন সাফল্য আছে ব্যর্থতাও আছে। নেপাল, ভারত, শ্রীলঙ্কা ভারতের লোকেরা যে খরচে যায় তিন মাসেই সেটি উঠে আসে। বাংলাদেশিদের খরচ তুলতে নয় মাসেরও বেশি লেগে যায়। খরচ বাড়ার একটি বড় কারণ দালালপ্রথা। তবে পারিবারিকভাবে আত্মীয়-স্বজনই এটি করে। তবে আমরা দেশওয়ারী অভিবাসন খরচ নির্ধারণে কাজ করছি।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা এবং বর্তমানে যুগ্ম সচিব কাজী আবুল কালাম বলেন, কত টাকা খরচে কত বেতনে কত বছরের চুক্তিতে যাচ্ছেন সেই হিসেব করে বিদেশে যেতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান রেহনুমা সালমা খান বলেন, অভিবাসন খাতের সমস্যাগুলো কোনো একক দেশের পক্ষে সমাধান করা সম্ভব নয়। এ জন্য আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, অভিবাসনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক খরচ দুটোই বিবেচনা করতে হবে। অনেকে যেমন বিদেশে গিয়ে প্রতারিত হন অনেকে ভালোও থাকেন। সমস্যাগুলো জিএফএমডিতে তুলে ধরতে হবে।
ওয়ারবির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুল হক বলেন, বিদেশগামী আর প্রবাসীদের দুঃখের শেষ নেই। সমস্যার সমাধানে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জিএফএমডির জন্য গঠিত নাগরিক কমিটির সভাপতি সি আর আবরার, বিএমইটির পরিচালক (কর্মসংস্থান) তাজুল ইসলাম, জনশক্তি রপ্তানিকারক শামীম আহমেদ চৌধুরীসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিদেশ ফেরত লোকজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।