পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের ঘটনার মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে স্থানান্তর করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ছামিদুল ইসলাম ধনবাড়ী আমলী আদালত থেকে মামলাটি ট্রাইবুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। মামলায় অভিযুক্ত ছয় শ্রমিক নেতার নাম বাদ দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। তবে ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগিতার অভিযোগে আরও এক শ্রমিকের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ধর্ষিতার স্বামী বখতিয়ার বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ওই ছয় শ্রমিক নেতা আমাকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে আপোষ-রফার চেষ্টা করেন। তাদের কথা না শুনলে নানারকম কটূক্তি ও ভয়ভীতি দেখান। অথচ তাদের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে আপত্তি জানাবো।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধনবাড়ী থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) খান মোহাম্মদ হাসান মোস্তফা জানান, তদন্ত শেষে গণধর্ষণের মামলায় ওই ছয় শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তাই অভিযোগপত্র থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে পাঁচজন এখনো জেল হাজতে রয়েছে। মামলার অপর তিন প্রধান আসামি বাসের চালক হাবিবুর রহমান ওরফে নয়ন (৩৩), সুপারভাইজার রেজাউল করিম ওরফে জুয়েল (৩৫) ও হেলপার আব্দুল খালেক ওরফে ভুট্টো (৩০) ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এছাড়াও মামলায় নাম না থাকলেও ধর্ষণের সময় গাড়ি চালিয়ে সহযোগিতা করায় আশরাফুল নামে আরও একজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে গত ১১ মে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এদের মধ্যে সহযোগী আশরাফুল ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। ছয় শ্রমিক নেতার মধ্যে লতিফ মুন্সি, সেলিম, জালু, মেলেটারী সেলিম ও ইলিয়াস জেল হাজতে রয়েছেন। তবে লাবলু নামের অপর এক শ্রমিক নেতা এখনো পলাতক। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২০ জুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।