পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সউদী নেতৃত্বে গঠিত সামরিক জোটে বাংলাদেশের সেনা পাঠালো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত এবং তা মেনে নেয়া হবে না বলে জানিয়েছে সিপিবি। গতকাল এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে সিপিবির নেতারা বলেন, বাংলাদেশ তার জন্মলগ্ন থেকে জোট-নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করছে। দীর্ঘদিন ধরে অনুসৃত জোট-নিরপেক্ষতার নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বিপরীতমুখী একটি ‘ইসলামিক সামরিক জোটে’ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের যোগদান করার বিষয়টি অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে জনগণ অথবা দেশের রাজনৈতিক শক্তিসমূহের সঙ্গে তো দূরের কথা, জাতীয় সংসদের এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র আলোচনা করা হয়নি। সবাইকে হতবাক করে দিয়ে এ জোটে সৈন্য পাঠানোর কথা প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণকে অবহিত করেছে। আমরা সরকারের এই মনোভাবের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সিপিবি নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, একথা মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে যে, প্রকৃতপক্ষে এই সামরিক জোট গঠন করা হয়েছে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার নির্দেশে, তার ভূ-রাজনৈতিক ও আধিপত্যবাদী স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশে। এই সামরিক জোটে শরিক হওয়ার ফলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার মতো বিপদের মুখে পড়বে। এসব কথা জানা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার কেন আমেরিকা ও সউদী স্বার্থ রক্ষা করতে সউদী নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছে, দেশবাসী তা জানতে চায়। আমরা অবিলম্বে সরকারকে এই আত্মঘাতী তৎপরতা বন্ধ করার দাবি জানাই। অবিলম্বে সউদী নেতৃত্বাধীন প্রশ্নবিদ্ধ সামরিক জোট থেকে বেরিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।