পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারাদেশে ট্রেন লাইনচ্যুতি ঘটনার ৭৫ শতাংশই ঘটে রেললাইনের কারণে। রেললাইনের প্যান্ডেল, ক্লিপ, ফিশপ্লেট ও নাট-বল্টু চুরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এর সাথে সারাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ রেল সেতু রয়েছে চারশ’টি। রেলওয়ের সংশ্লিষ্টদের অবহেলা, নিয়মিত তদারকি ও মেরামতের অভাবে ট্রেন চলাচল ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।
ঢাকা-সিলেট রুটের কুলাউড়ায় ঘটে যাওয়া ‘ভয়াবহ’ ট্রেন দুর্ঘটনার পর একে একে বেরিয়ে আসছে ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইনের চিত্র। এর মধ্যে ঢাকা-সিলেট রুটের বেহাল দশার চিত্র দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ১৩৫ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হবে। পুরনো এ রেললাইন তুলে ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ করার ঘোষণা দিয়েছেন মন্ত্রী। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, দেশে ২ হাজার ৯২৯ কিলোমিটার রেলপথে বছরে প্রায় ৫ লাখ পিস ক্লিপ চুরি হচ্ছে, যার বাজারমূল্য ১০ কোটি টাকার বেশি। এ ছাড়া পরিত্যক্ত রেললাইন, রেলবিট, লেভেল ক্রসিংয়ের রেল, ফিশপ্লেট, ক্লিপ, নাট-বল্টুও চুরি হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। চুরি যাওয়া এসব যন্ত্রাংশ তদারকির পর দ্রুত লাগানোর নিয়ম থাকলেও বছরের পর বছর তা লাগানো হচ্ছে না। প্রতি মাসে কমপক্ষে একবার রেলওয়ে পরিদর্শক (জিআইবিআর) লাইন পরিদর্শনের কথা থাকলেও তা মোটেও পালন করা হয় না। এমনও ঘটনা আছে কোনো কোনো সেকশন বছরে একবারও পরিদর্শন করা হয় না। এ ছাড়া ক্লিপ, ফিশপ্লেট, নাট-বল্টু সাপ্লাই ও প্রতিস্থাপনে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, কংক্রিট স্লিপারের সঙ্গে লাইন আটকে রাখা প্যান্ডেল ক্লিপসহ যন্ত্রাংশ রেলপথের অপরিহার্য উপাদান। গুরুত্বপূর্ণ এসব যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন ও সাপ্লাইয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ট্রেন লাইনচ্যুতসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। এর ফলে সিডিউল বিপর্যয়ে যাত্রী দুর্ভোগের পাশাপাশি এক একটি লাইনচ্যুত ট্রেন উদ্ধারে ২ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার ওপরে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। দুর্ঘটনায় সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ট্রেন বাতিলের জন্যও লোকসান গুনতে হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও এগুলো যেমন আলোর মুখ দেখে না, তেমনি সুপারিশও বাস্তবায়ন হয় না।
সরেজমিনে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে বিমানবন্দর রেলস্টেশন পর্যন্ত রেললাইনের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, রেলপথের বহু স্থানে ক্লিপ ভেঙে আছে। অনেক জায়গায় প্রয়োজনমতো পাথর নেই। কোথাও আবার লাইনের সংযোগস্থলে থাকা হুক খোলা। এ ছাড়া দু’টি রেলপাতের সংযোগস্থলে ৪টি করে ৮টি নাট-বল্টু থাকার কথা থাকলেও বিভিন্ন স্থানে দু-একটি নাট-বল্টুর রয়েছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ট্রেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলের প্রকৌশল বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, পুরো রেলপথে বছরে ৫ লাখের বেশি ক্লিপ চুরি হয় বা ভেঙে যায়। যার মধ্যে ২ থেকে সোয়া দুই লাখ ক্লিপ সরবরাহ করে ঘাটতি পূরণ করা হয়। সরবরাহকৃত ক্লিপও যথাযথভাবে লাগানো হয় না। এতে বছরের পর বছর ক্লিপবিহীন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করে।
শুধু রাজধানী নয়, গোটা দেশের রেলপথেই বছরের পর বছর মূল্যবান ক্লিপ ও যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনা ঘটছে। খোয়া যাওয়া ক্লিপ বা যন্ত্রাংশ পূরণে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। ক্লিপ বা মূল্যবান যন্ত্রাংশে ‘বিআর’ (বাংলাদেশ রেলওয়ে) লেখা থাকলে চুরি রোধ করা সহজ হতো বলে অনেকেই মনে করেন। চুরি যাওয়া একটি ক্লিপ ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হয়। ঢাকা রেলওয়ে থানায় ক্লিপ চুরিসহ রেলওয়ে যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেন, লাইনে ক্লিপ আছে কি নাই সেটা মূলত ওয়েম্যানরা দেখেন। চুরি কিংবা খোয়া গেলে তারা সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, লাইন পাহারায় পর্যাপ্ত লোকবল নিয়োগ ও আধুনিক ক্লিপ লাগানো নিশ্চিত করা গেলে ক্লিপ চুরি রোধ সম্ভব হবে।
আখাউড়া-সিলেট রুটে ৪০ শতাংশ ক্লিপ উধাও
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, সিলেট-কুলাউড়া-আখাউড়া সেকশনে ১৭৮ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে। দীর্ঘ এ পথে ছোট-বড় ২৫০টির বেশি সেতু রয়েছে। সর্বনিম্ন তিন ফুট থেকে ৩০০ ফুট পর্যন্ত দীর্ঘ সেতুগুলো ৬০-৭০ বছর আগে নির্মিত। প্রতিদিন এ রেলপথে ৬ জোড়া আন্তঃনগর এবং ৮টি ডেমু ও লোকালসহ কয়েকটি পণ্যবাহী ট্রেনও চলাচল করে।
এ রুটের রেল সেতু ও কালভার্টগুলোর অর্ধশত বছরের পুরনো কাঠের স্লিপারের অধিকাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। রেল লাইনের ক্লিপ-হুক উঠে যাওয়া, সেতু-কালভার্ট সংস্কারের অভাব ও রেল সেতুর কাঠের স্লিপারগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে এ রেলপথটি।
কুলাউড়া উপজেলার দুর্ঘটনাকবলিত বরমচাল এলাকায় অনুসন্ধানে দেখা যায়, এখানকার রেললাইনের শতকরা ৪০টি ক্লিপই উধাও। অনেক জায়গায় টাই প্লাট ভাঙা, কোথাও আবার আরসিসি স্লিপার ভাঙা ও কাঠের স্লিপার পচে গেছে। এমনও দেখা গেছে, একটি স্লিপারের কোনো মাথায় ক্লিপ নেই। তার মানে টান দিলে স্লিপার বের করে আনা সম্ভব। একই চিত্র টিলাগাঁও, লংলা ও কুলাউড়া স্টেশন এলাকায়ও। এ ছাড়া কয়েকটি সেতু পরিদর্শন করে দেখা যায়, সেতুগুলোর গার্ডারের অবস্থা জরাজীর্ণ। সেতুর মধ্যে স্লিপার বেঁকে রয়েছে। স্লিপারগুলোর পাশে বাঁশ লাগানো হয়েছে।
রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, মোটরট্রলিতে করে লাইন পরীক্ষা করার কথা। কিন্তু কুলাউড়া স্টেশন থেকে সিলেট অভিমুখে বা শ্রীমঙ্গল স্টেশন অভিমুখে এ ধরনের কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ফলে লোহা ব্যবসায়ীরা রেললাইনে স্পাইক খোলার বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করে টাই প্লাট, ক্লিপস ও ফিসপ্লেট খুলে নিয়ে যায়। খাঁটি লোহার এসব সরঞ্জামের চড়া দাম থাকায় প্রতিনিয়ত তা চুরি হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক‚লাউড়া স্টেশনের একজন কর্মচারী জানান, এ রেলপথের যন্ত্রাংশ পুরনো হওয়াতে ট্রেন চলাচলের সময় ক্লিপ-হুক স্লিপারও রেললাইন থেকে খুলে উড়ে যায়। কাঠের স্লিপার পড়ে যাওয়াতে ট্রেনের চাপ সহ্য করতে না পেরে অনেক স্লিপার বেঁকে যায়। এতে লাইন দুর্বল হয়ে পড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হয় শায়েস্তাগঞ্জের খোয়াই রেল সেতু, লস্করপুর রেল সেতু, কুতুবের চকের দু’টি রেল সেতু, বড়চর রেল সেতু, সুতাং নদীর ওপর নির্মিত রেল সেতু ও চাইল্লা রেল সেতু। দীর্ঘদিন ধরে দুর্বল হয়ে থাকা রেল সেতুগুলো মেরামতে মাঝে মধ্যে উদ্যোগ নিলেও কাজ হয় নামমাত্র। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে এসব রেল সেতুর ওপর দিয়ে চলছে ট্রেন।
স্থানীয়রা জানান, শায়েস্তাগঞ্জের সাতটি রেল সেতুর অবস্থা ভয়াবহ। ঢাকা-সিলেট রেলপথের বিভিন্ন এলাকার রেল সেতুর পিলারগুলোতে দেখা দিয়েছে একাধিক ফাটল। রেল সেতুর নাট-বল্টু নেই বললে বলে পরে দেবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষের লোকজন। দ্রæত এগুলো মেরামতের উদ্যোগ না নিলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটবে বলে স্থানীয়দের আশঙ্কা।
সুতরাং এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেন, শুধু রেল সেতু নয়, পুরো রেললাইনের বিভিন্ন স্থানে দুর্বলতা দেখা দিয়েছে। ট্রেন চলাচলের সময় রীতিমতো কাঁপতে থাকে রেললাইন। এভাবে দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে চলাচলে সাধারণ যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
শায়েস্তাগঞ্জ এলাকার বাসিন্দারা জানান, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অর্থ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো সিলেটের হাতেই ছিল। গ্যাস, পর্যটন, চা-পাতা, পাথর, মাছ ও ভাত উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সিলেট। কিন্তু সিলেট বিভাগের রেললাইনের ব্যাপারে আমরা বৈষম্যের শিকার। কর্তৃপক্ষ সময়মতো উদ্যোগ না নেয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ দুর্ঘটনার দায় কি রেল কর্তৃপক্ষ নেবে? হয়তো কিছু ক্ষতিপূরণ দেবে। এ ছাড়া সিলেট রেললাইনে চলাচলকারী ট্রেনগুলো জীর্ণশীর্ণ। অবস্থা দেখলে মনে হয়, রেল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে দয়া করছে। অথচ অন্যান্য রেললাইনে নতুন নতুন বগি দিয়ে ট্রেন চালানো হয়। এই বৈষম্য থেকে সিলেটবাসী মুক্তি চায়।
১৬ হাজার কোটি টাকায় হবে সিলেট-আখাউড়া নতুন রেলপথ : সিলেটে রেলমন্ত্রী
সিলেট ব্যুরো, মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা ও কুলাউড়া উপজেলা সংবাদদাতা জানান,
১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ১৩৫ কিলোমিটার নতুন রেলপথ করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এমপি। তিনি বলেন, সিলেট-আখাউড়া রেলপথে বর্তমানে মিটারগেজ লাইন আছে। এটি তুলে ফেলে নতুন করে ডুয়েলগেজ লাইন করা হবে।
গতকাল বুধবার সকাল ৯টার দিকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কুলাউড়ার বরমচালে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে এসে এ কথা জানান মন্ত্রী। এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপিও উপস্থিত ছিলেন।
রেলমন্ত্রী আরো বলেন, এই দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোনো ত্রুটি বা গাফিলতি হয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তে প্রমাণ হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে। অতিরিক্ত যাত্রী সব সময়ই ঝুঁকিপূর্ণ। ট্রেনে, লঞ্চ কিংবা বাস সবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই রেলপথে অতিরিক্ত যাত্রী না হতে আবারও সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
এ দিকে, রেলমন্ত্রী গতকাল দুপুরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বরমচালে আন্তঃনগর ‘উপবন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তাৎক্ষণিক এক পথসভায় বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছি। ইতোমধ্যে দুর্ঘটনার কারণ ক্ষতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহতদের এক লাখ টাকা ও আহতদের ১০ হাজার টাকা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেও সাহায্য দেয়া হবে। এসব দিলে কী হবে? অর্থ দিয়ে মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ হয় না।
কোনো দুর্ঘটনাই আমাদের কাম্য নয়। রেলের তো নয়ই। এমনকি কোনো অস্বাভাবিক মৃত্যুও কামনা করি না। যার পরিবারের লোক মারা যায় কেবল তারাই অনুভব করে, কী হারিয়েছে। এখানে এসে এবং আপনাদের দেখে বুঝলাম রেলের প্রতি আপনাদের কতটা আগ্রহ। প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের এই আগ্রহ অনুভব করতে পেরেই দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি রেলের উন্নয়ন করেছেন। আলাদা মন্ত্রণালয় করেছেন।
রেলের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এই লাইনে সব ক’টি রেল ব্রিজ ও ১৬টি আধুনিক রেলস্টেশন নির্মাণ করা হবে। স্থানীয় জনতার দাবিদাওয়ার প্রেক্ষিতে তিনি বরমচাল স্টেশনে যেকোনো দু’টি আন্তঃনগর ট্রেন যাত্রাবিরতি হবে ঘোষণা দেন।
সংক্ষিপ্ত পথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন আহমদ বলেন, ব্রিটিশ আমলের এই রেলপথ সংস্কার ও আধুনিকায়ন জরুরি। রেলের দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটন করা হবে। এ ছাড়া সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনের লাউয়াছড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে অনেক বন্যপ্রাণী মারা যায়। সেসব বন্যপ্রাণী রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিসবাউর রহমানের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান ও কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু।
পথসভা শেষে মন্ত্রী ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত কুলাউড়া পৌরসভার বাসিন্দা আব্দুল বারীর স্ত্রী মনোয়ারা পারভীনের বাসায় যান। এ সময় নিহত মনোয়ারা পারভীনের দুই মেয়ের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। মন্ত্রীদ্বয় শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানান।
পরে দুই মন্ত্রী ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে কুলাউড়া হাসাপাতালে ছুটে যান। সেখান থেকে স্থানীয় ডাক বাংলোয় বিরতি শেষে আন্তঃনগর পারাবত ট্রেন যোগে বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকার উদ্দেশে কুলাউড়া ত্যাগ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।