প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : এটি মেয়েদের যুগ যুগ ধরে চলে আসা সাজ সজ্জার অংশ। ইসলাম পূর্ব যুগে এসব ছিল। ইসলাম এসে এসব বাধা দেয় নি। নতুনভাবে উৎসাহিতও করে নি। নারীদের জন্য এসব করা হারাম নয়। তবে নাক কানের অলংকারের ছিদ্রে ফরজ গোসলের পানি পৌঁছানো আবশ্যিক। অজুর সময় নাকফুল, নথ বা নোলকের ছিদ্রে পানি পৌঁছানো জরুরী। অলংকার নড়াচড়া করে ভেতরে পানি পৌঁছাতে হয়। ছিদ্র করার পর অলংকার না পরা ঠিক না। বিধবা মেয়েদের জন্য যা একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। ইদ্দতের পর পানি পৌঁছানোর জন্য তাদের অলংকার বা কাঠি পরে থাকতে হয়, যতদিন না তারা স্রাব বন্ধের পর্যায়ে চলে না যান। এসব বিষয় খেয়াল রেখেই নাক কান ফোঁড়ন জায়েজ। না ফোঁড়ালে তো কোনো ঝামেলাই নেই। বর্তমানে নাক ফোঁড়ানো অনেক কমে গেছে। তবে, মুসলিম নারীদের নারী সুলভ বৈধ সাজ-গোজ ইসলামে স্বীকৃত। এক সাহাবী নারীকে নবী সা. বলেছিলেন, মেয়েরা হাতে মেহেদী ইত্যাদি লাগায় না কেন? বোঝাই যায় না এটা পুরুষের হাত না নারীর। পর্দার আড়াল থেকে এ মহিলা নবী সা. কে কোনো পাত্র বা বাটি এগিয়ে দিলে তিনি একথা বলেন।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।