Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্ষমা চেয়ে বিমান কর্তৃপক্ষের দুঃখ প্রকাশ

নিয়োগ ও বদলি সংক্রান্ত অভিযোগ সিভিল এভিয়েশনের

প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : অবশেষে সিভিল এভিয়েশনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। গত ২৯ মে লিখিতভাবে বিমান সিভিল এভিয়েশনের কাছে এ ক্ষমা চায়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কারিগরি গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) অনুমোদন বাধ্যতামূলক। তবে এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে প্রতিনিয়তই কর্মকর্তা নিয়োগ ও বদলি করেছে রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাটি। বিষয়টি নজরে এলে বিমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বেবিচক। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বেবিচকের কাছে দুঃখ প্রকাশ ও নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছে বিমান।
এ নিয়ে গত ২৯ মে বেবিচককে চিঠি দেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (চিঠির স্মারক নং-ডিএসিডিডি/১৩/২০১৬/৩৭)। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এমএম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনার অংশ হিসেবে ফ্লাইট অপারেশন বিভাগে কিছু পরিবর্তন আনতে হয়েছে, যা অনেক দিন ধরেই অনিষ্পন্ন ছিল। বেবিচকের পূর্ব অনুমোদন ছাড়া এ নিয়োগ দেয়ায় আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। নিয়মের এ ব্যত্যয় ঘটায় আমরা অনুতপ্ত। চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বেবিচকের নিয়ম ও নীতি অনুসরণে দায়বদ্ধ। ভবিষ্যতে এ ধরনের ব্যত্যয় ঘটবে না বলেও নিশ্চয়তা দিচ্ছে বিমান।
জানা গেছে, দেশে যেকোনো এয়ারলাইন্স সংস্থার কারিগরি গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ ও বদলিতে কার্যক্রম পরিচালনা করার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেবিচক। তাদের অনুমোদন নেয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু প্রতিনিয়তই এ আইনের লঙ্ঘন করে আসছে বিমান কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ রয়েছে, পছন্দের ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতেই দীর্ঘ সময় ধরে আইন ভঙ্গ করে আসছে বিমান। এর আগে গত ১৭ মে নিয়োগ ও বদলিতে নিয়ম ভঙ্গের জন্য বিমানকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেয় বেবিচক। বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর দেয়া ওই চিঠিতে (চিঠির স্মারক নং-সিএএবি/১০০/৬৫-১/এফএসআর) নিয়োগ ও বদলিতে আইনবহির্ভূত কর্মকা-ের কারণ জানতে চাওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে বেবিচকের ফ্লাইট সেফটি এন্ড রেগুলেশন বিভাগের পরিচালক উইং কমান্ডার চৌধুরী মো. জিয়া-উল-কবির বলেন, এয়ারলাইন্সের মতো স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানে কারিগরি ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার বিকল্প নেই। কারণ, এর সঙ্গে সাধারণ যাত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত। এ কারণেই ফ্লাইট অপারেশনের মতো কারিগরি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে নিয়োগ বা বদলির ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে বিমানের জবাবদিহিতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে বলে মনে হওয়ায় চিঠি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নিয়ম মেনে টেকনিক্যাল সেক্টরে যোগ্য লোক নিয়োগ দেয়া হলে আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের কাছেও বেবিচকের সুনাম বাড়বে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্ষমা চেয়ে বিমান কর্তৃপক্ষের দুঃখ প্রকাশ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ