পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ১৯৭১ সালের নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পাকহানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হয়। এরপর দেশে এ পর্যন্ত ১১ জন অর্থমন্ত্রী ৪৪টি বাজেট ঘোষণা করেছেন। আজ ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এটি হবে দেশের ৪৫তম বাজেট।
১৯৭২ সালে জাতীয় সংসদে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ জাতীয় সংসদে প্রথমটিসহ মোট ৩টি বাজেট পেশ করেন। এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর সামরিক সরকার এবং তাদের ছত্রছায়ায় বেশ কয়েকটি সরকার দেশ শাসন করেছে। এ সময় দেশে জাতীয় সংসদ সচল ছিল না। সামরিক সরকারগুলো অধ্যাদেশ আকারে বাজেট পেশ করে।
সরকারি তথ্য থেকে জানা যায়, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর সরকার উৎখাতের পর সেনা-সমর্থিত খন্দকার মোস্তাক সরকারের ১৯৭৫-১৯৭৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী ড. আজিজুর রহমান। এরপর সামরিক শাসক মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ২টি এবং গণভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর আরো একটিসহ মোট ৩টি বাজেট ঘোষণা করেন। ড. এমএন হুদা একবার, এরপর ১৯৮০-১৯৮১ ও ১৯৮১-১৯৮২ অর্থবছরে পরপর দুইবার সাইফুর রহমান বাজেট ঘোষণা করেন।
জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণ করেন ১৯৮২ সালে। তার শাসনামলে আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৮২-১৯৮৩ ও ১৯৮৩-১৯৮৪ এ দুই অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন। ১৯৮৪-১৯৮৫ অর্থবছর থেকে ১৯৮৭-১৯৮৮ অর্থবছর পর্যন্ত পরপর ৪ বার বাজেট ঘোষণা করেন এম. সায়েদুজ্জামান। ১৯৮৮-১৯৮৯ এবং ১৯৯০-১৯৯১ অর্থবছরে মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল মুনিম দুইবার বাজেট পেশ করেন। এরমাঝে ১৯৮৯-১৯৯০ অর্থবছরে ড. ওয়াহিদুল হক বাজেট পেশ করেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রবর্তন হয়। ওই সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বিএনপি সরকার গঠন করলে এম. সাইফুর রহমান আবার অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি ১৯৯১-১৯৯২ অর্থবছর থেকে ১৯৯৫-১৯৯৬ অর্থবছর পর্যন্ত মোট ৫টি বাজেট পেশ করেন।
আন্দোলনের মুখে বিএনপি সরকারের পতনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয় এবং এসএএমএস কিবরিয়া অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তিনি ১৯৯৬-১৯৯৭ অর্থবছর থেকে ২০০১-২০০২ অর্থবছর পর্যন্ত টানা ছয়টি বাজেট পেশ করেন। ২০০১-এর নির্বাচনের পর বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার গঠন করে। এম. সাইফুর রহমান অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে আবারো ২০০২-২০০৩ অর্থবছর থেকে ২০০৬-২০০৭ অর্থবছর পর্যন্ত পাঁচটি বাজেট পেশ করেন।
বিরোধীদলের আন্দোলনের মুখে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়। এ সময় সামরিক বাহিনীর সমর্থনপুষ্ট ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। অর্থ উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়ে ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম ২০০৭-২০০৮ ও ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার ক্ষমতা লাভ করলে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি ২০০৯-২০১০ অর্থবছর থেকে চলতি ২০১৫-২০১৬ অর্থবছর পর্যন্ত টানা ৭টি বাজেট পেশ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।