পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বেসরকারি চ্যানেল মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী ও প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ফাহিম মুনয়েম ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহি রাজিউন। গুলশানের নিজ বাসভবনে গতকাল বুধবার ভোর সোয়া ৬টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। ফাহিম মুনয়েম স্ত্রী ও তিন ছেলে রেখে গেছেন।
সৈয়দ ফাহিম মুনয়েমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এক শোকবাণীতে স্পিকার বলেন, সৈয়দ ফাহিম মুনয়েমের মৃত্যুতে দেশ একজন বিশিষ্ট সংবাদিককে হারালো। তার মৃত্যুতে দেশের গণমাধ্যমের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ। মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দিন আহমেদ এক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রেস সচিব হিসাবে তাকে সেই সময় আহবান করা হয় তখন তিনি গভীর দেশপ্রেম ও কর্মনিষ্ঠার সাথে নিজের দায়িত্ব পালন করেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোকবাণীতে ভিসি বলেন, ফাহিম মুনয়েম দীর্ঘদিন সংবাদপত্রে কাজ করেছেন এবং সংবাদপত্র ব্যবস্থাপনার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশের সংবাদপত্র বিকাশে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডসহ বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠন।
প্রখ্যাত সাংবাদিক সৈয়দ নুরুদ্দিনের ছেলে ফাহিম মুনয়েম নিজেও সংবাদপত্রে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। সংবাদ, মর্নিং সান ও ইউএনবিতে কাজ করার পর তিনি ডেইলি স্টারের ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। ডেইলি স্টারে থাকা অবস্থাতেই ২০০৭ সালে তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমেদের প্রেস সচিবের দায়িত্ব পান তিনি। ওই দায়িত্ব শেষে আবারো ফেরেন ডেইলি স্টারে।
২০১০ সালে মাছরাঙা টেলিভিশনের যাত্রা শুরুর সময় তিনি যোগ দেন প্রধান নির্বাহী হিসেবে। গত ছয় বছর তার নেতৃত্বেই সম্প্রচার চালিয়ে আসছিল টেলিভিশন চ্যানেলটি। সহকর্মী সংবাদকর্মীদের অনেকের কাছে ফাহিম মুনয়েম ‘টিপু ভাই’ হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিলেন। মাছরাঙা টেলিভিশনের একজন সিনিয়র রিপোর্টার বলেন, তার ছেলেরা বিদেশে থাকেন। তারা দেশে ফিরলে লাশ দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।