Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

উচ্চ করের বাজেট

আজ সংসদে পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:১৭ এএম, ২ জুন, ২০১৬

হাসান সোহেল : ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট আজ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিকেলে এ বাজেট পেশ করবেন। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবিত এ বাজেটের আকার ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। টাকার অঙ্কে এটিই হচ্ছে এ দেশে সবচেয়ে বড় বাজেট।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর গঠিত সরকারের এটা হচ্ছে তৃতীয় বাজেট, যা দেশের ৪৫তম এবং অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ১০ম বাজেট। স্বাধীনতার পর ১৯৭২-৭৩ সালে প্রথম বাজেটের আকার ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী হিসেবে ৩৩ বছর আগে এরশাদ সরকারের আমলে ১৯৮২-৮৩ এবং ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে প্রথম যে বাজেট দিয়েছিলেন তার আকার ছিল মাত্র ৫ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২ জুন সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট, চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ও ২০১৬ সালের অর্থবিল উপস্থাপন করা হবে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট পাস হবে ৩০ জুন। এর আগে ২৯ জুন প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সমাপনী বক্তব্য রাখবেন। দশম সংসদের এটা তৃতীয় বাজেট। গত দুই নির্বাচনেই দিন বদলের ইশতেহার দেয় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট। সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য আজ বড় আকারের একটি বাজেট দিতে হচ্ছে অর্থমন্ত্রীকে। আর তাই বড় অঙ্কের রাজস্ব আয় ও ব্যয় পরিকল্পনা নিয়ে ‘স্বপ্নের বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার এই বাজেট এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় বাজেট। এবারের বাজেটে কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে ও বিদেশী সহায়তা ব্যবহারে আগামী বাজেটে গঠন করা হবে প্রকল্প পরিচালক পুল বা পিডি পুল। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধিশালী রাষ্ট্রে পৌঁছানোর জন্য একটি রূপরেখা দেয়া হবে। এজন্য জিডিপিসহ মাথাপিছু আয়ের উচ্চ প্রবৃদ্ধি, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের ঘোষণা  দেয়া হবে।
অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৮-১৯ সালে দেশকে কোথায় দেখতে চান তা মাথায় রেখেই আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেট তৈরি করেছেন তিনি। এজন্য রাজস্ব আয় এবং ব্যয় পরিকল্পনা দুটোই উচ্চাভিলাষী। এমনকি ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার স্বপ্নও দেখছেন তিনি।
উচ্চাভিলাষের আগের সব রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছেন ৮৩ বছর বয়সী অর্থমন্ত্রী। ঠিক ২ বছর পর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫ লাখ কোটি টাকা ছুঁতে আয় ও ব্যয় দুটোর আকার যতদূর সম্ভব বাড়িয়ে ধরেছেন তিনি। আসছে বাজেটে এনবিআরের জন্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা একটুও কম হচ্ছে না, বরং চলতি বাজেটের মতোই আয়ের উচ্চ প্রবৃদ্ধি ধরে বড় ব্যয় পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী।
জনপ্রশাসনের বেতন-ভাতা রাজস্ব ব্যয় বাদ দিলে বরাবরের মতো আগামী বাজেটেও গুরুত্ব পেয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং যোগাযোগ অবকাঠামো খাত। বেশি আয় করে মানুষের কল্যাণে বড় ব্যয় কাঠামোর অভ্যাস এবারো দেখা যাবে আগামী বাজেটে। দীর্ঘ বাজেট বক্তৃতার ক্লান্তি এড়াতে গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারো ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাজেট উত্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী।
সূত্রমতে, পাঁচ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা মাথায় রেখে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সরকারের চলতি মেয়াদের প্রথম বাজেট ঘোষণা করা হয়। নতুন অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে ২০২১ সালের আগেই দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জনকে সম্ভব করার স্বপ্ন দেখছেন অর্থমন্ত্রী। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের মাঝে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে সফল আত্মপ্রকাশ করবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। এ সময়ের মধ্যে দেশে দারিদ্র্যের হার ১৮ শতাংশের নিচে নেমে আসবে এবং মানুষের গড় আয় দাঁড়াবে দুই হাজার ডলারের কাছাকাছি। অবশ্য সরকারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যেই মধ্যম আয়ে দেশের তালিকায় নাম লেখাবে বাংলাদেশ। সূত্রমতে, একটি সুখী ও সমৃদ্ধিশালী দেশ গড়তে আসছে বাজেটে সুষম উন্নয়নের পথ দেখাতে চান অর্থমন্ত্রী। আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশে আয়বৈষম্যে একটি দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে চান তিনি। মানুষকে অর্থনৈতিক কর্মকা-ের সঙ্গে জড়াতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে চান গ্রামগঞ্জে। এজন্য গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে প্রান্তিক পর্যায়ের রাস্তাঘাট, অবকাঠামোর উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে আগামী বাজেটে। সেই সঙ্গে জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে কারিগরি শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে চান দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। আর মানব সম্পদ, শিক্ষা ও স্বাস্ব্য খাতে ঢেলে সাজাতে চান এবারের বাজেটের মাধ্যমে।
একই সঙ্গে এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধিশালী রাষ্ট্রে পৌঁছানোর জন্য একটি রূপরেখা দেয়া হবে। এজন্য জিডিপিসহ মাথাপিছু আয়ের উচ্চ প্রবৃদ্ধি, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের ঘোষণা  দেয়া হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, আগামী বাজেট হবে প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও আয়ের সুষম বণ্টনের বাজেট। প্রতি বছরের মতো এবারও জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যে বাজেট ঘাটতি রাখা হবে। মানবসম্পদ উন্নয়নে একটি ফান্ড গঠন করা হবে। এছাড়া গবেষণা কাজে বাড়তি বরাদ্দ দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ কৌশল নেয়া হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। শুধু তাই নয়, উচ্চ প্রবৃদ্ধির পথ রচনা হবে নতুন এই বাজেটের মধ্য দিয়ে।
বাজেটের অঙ্ক : বাজেটে মোট ব্যয়ের লক্ষ্য ধরা হতে পারে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা। এটি মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ। এর মধ্যে অনুন্নয়ন ব্যয় ২ লাখ ২৯ হাজার ৩০৬  কোটি টাকা। এ অর্থ ব্যয় হবে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা, বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ, ভর্তুকি, সেবা ও সরবরাহ খাতে। এ ছাড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) মূল আকার ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের অর্থায়ন ৭০ হাজার ৭০০ কোটি এবং বৈদেশিক সহায়তা হচ্ছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। এবারে বাজেটে ঘাটতি ধরা হতে পারে ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১২ দশমিক ৪ শতাংশ। এর মধ্যে এনবিআরের করের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা। এটি নন-এনবিআর করের লক্ষ্যমাত্রা ৭ হাজার ২৫০ কোটি টাকা, কর ছাড়া প্রাপ্তি আয় হচ্ছে ৩২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ধরা হচ্ছে ৯৭ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৬০ হাজার ৭৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে শুধু ব্যাংক থেকে নেওয়া হবে ৩৭ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র খাত থেকে নেওয়া হতে পারে ২২ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। এছাড়া বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণের লক্ষ্য ঠিক করা হতে পারে ৩৯ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা। এর বাইরে অনুদান ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ও বিদেশী ঋণ পরিশোধের লক্ষ্য ধরা হতে পারে ৮ হাজার ৮৮ কোটি টাকা।
তবে বাজেটের এখনও আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে গলদঘর্ম জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন নিয়ে চাপের মুখে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এছাড়া উচ্চ প্রবৃদ্ধির এডিপি বাস্তবায়নের পাশাপাশি রাজস্ব আদায় লক্ষ্য ধরেছেন ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। চলতি বছরের বড় ঘাটতি বিবেচনায় যা অর্জন প্রায় অসম্ভব। নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করে আয় কিছুটা বাড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যবসায়ীদের তীব্র আপত্তির মুখে ভ্যাট আইন কার্যকর হবে কি না সেটাও এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। এতে প্রত্যাশিত রাজস্ব আয়ের ঝুঁকি আরও বেড়ে গেছে। আগামী বছর ৯৭ হাজার কোটি টাকার বিশাল ঘাটতি বাজেটের দায় কাঁধে নিতে হবে তাকে। এত কিছুর পরও অর্থমন্ত্রীর আশা, অর্থনীতির ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে। এজন্য বড় বাজেটের স্বপ্ন বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন তিনি।
বড় বাজেট সম্পর্কে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অর্থনীতিবীদ এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, প্রশাসনিক দক্ষতা বাড়ানো ছাড়া বাজেট বাস্তবায়নের ‘বেহাল দশা’ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। তিনি বলেছেন, বাস্তবতার সঙ্গে বাজেটের সম্পর্ক ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। অর্থ বরাদ্দ দিলেই হবে না, সেটা ঠিকমতো খরচ হচ্ছে কি না, কাজ সময়মতো শেষ হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করতে হবে। মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, শুধু শুধু উচ্চাভিলাষী অসম্ভব টার্গেট নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে, বাস্তবসম্মত বাজেট দিতে হবে।
ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেছেন, বাজেটের এই আকার মোটেও বড় নয়। বাজেট মানেই চ্যালেঞ্জ। আকাঙ্খা থাকতে হবে। সেই আকাক্সক্ষা যাতে পূরণ হয়, বাস্তবায়ন হয়, সেদিকে বেশি নজর দিতে হবে। একই সঙ্গে বাজেটে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়ানো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন তিনি।
যদিও আগামী বাজেটে বিনিয়োগ ও গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করতে বরাদ্দ থাকছে ৫৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। বিশেষ করে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। পাশাপাশি বিনিয়োগ বাড়াতে ভৌত অবকাঠামো খাতে ব্যাপক সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এছাড়া বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সব ধরনের ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ছে আওতাও। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ থাকছে ১৭ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা। এছাড়া পদ্মা সেতুসহ দ্রুত সময়ে বাস্তবায়িত মেগা দশ প্রকল্পের জন্য এবারের বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।
প্রতি বছরের বাজেটেই দাতাদের একটি ভূমিকা থাকে। তাদের চাপে সরকার অনেক রাজনৈতিক ও সমাজকল্যাণমূলক কর্মকা- সংকুচিত কলেবরে নিয়ে থাকে। এবারের বাজেটেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। বিশেষ করে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) বাজেটকে সামনে রেখে অনেক প্রস্তাব করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে। তাদের ঋণ নেয়ার কারণে সেগুলোর ওপরও গুরুত্ব দিতে হয়েছে। এ কারণে ভর্তুকির আওতা কমছে আজকের বাজেটে।
উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল ২ লাখ ৯৫ হাজার ১শ’ কোটি টাকা। কাটছাঁটের পর সংশোধিত বাজেট দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা। মূল এডিপির আকার ছিল ৯৭ হাজার কোটি টাকা। ছয় হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট করে তা ৯১ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জন্য কর ও করবহির্ভূত মিলে মোট ২ লাখ ৮ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণ হলেও পরবর্তীতে তা কমিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার ৭২০ কোটি টাকা করা হয়। ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা আগামী বছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে বলে মতামত দিয়েছেন। একই সঙ্গে যা জনগণের উপর চাপ বাড়াবে।



 

Show all comments
  • Kamrul Ahmed ২ জুন, ২০১৬, ১০:৫২ এএম says : 0
    Amra niriho jonogon ses
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উচ্চ করের বাজেট
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ