পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক থাকায় মানুষ ন্যায় বিচার পাচ্ছে। এমনকি বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি দৃঢ়তর হচ্ছে।
বুধবার বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের একাদশতম ও তৃতীয় বাজেট অধিবেশনে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সদস্য এম এ আউয়ালের প্রশ্নের জবাবে সংসদকে এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী। এর আগে বিকেল ৫টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থার ফলে দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। মানুষ ন্যায় বিচার পাচ্ছে। ফলে শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিকভাবে দেশি-বিদেশি নাগরিকরা তাদের জীবন-যাপন ও ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকার ফলে দেশে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকার কারণে বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি দৃঢ়তর হচ্ছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদসহ যেকোনো ধরনের অরাজকতা রোধ করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান এবং সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, জনগণের মৌলিক ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
সব ধরনের জঙ্গিবাদ, নাশকতা ও সহিংসতার সাথে জড়িত ও হুকুমদাতাদের আইনের আওতায় আনতে ও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশসহ সকল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ লক্ষ্যে পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরস্পরের সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
ঈদযাত্রা নির্বিঘœ হবে
চট্টগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ঈদুল ফিতরে নির্বিঘœ বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে আগামীকাল (আজ বৃহস্পতিবার) আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করা হবে। এরই মধ্যে ৩২টি প্রস্তাব নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এগুলো বাস্তবায়ন করে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের যানজটমুক্ত ও ভোগান্তিমুক্ত যাত্রা নিশ্চিত করা হবে।
যানজটমুক্ত করতে পুলিশের পক্ষে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঈদে নির্বিঘেœ বাড়ি যাওয়া ও ফিরে আসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ৩২টি প্রস্তাবনা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে যানজটপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা, গুরুত্বপূর্ণ সড়কে একমুখী যানচলাচল ব্যবস্থা অমান্যকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা, মডেল আউট ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান, সুষ্ঠু ট্রাফিক নিশ্চিত করতে মোবাইল ও মোটরসাইকেল মোবাইল টিম পরিচালনা, বিকল ও দুর্ঘটনাকবলিত যান রাস্তার পাশে রাখার আলাদা ব্যবস্থা করা, রাস্তায় বাজার বসতে না দেওয়া এবং ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা করার লক্ষ্যে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
তিনি বলেন, বিআরটিএ ও ডিএমপি এবং মালিক ও শ্রমিক সমিতির মাধ্যমে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ, সঠিক সময়ে গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ ও বের হওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকার সকল ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামত, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। একই সাথে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের আওতায়ধীন সকল সড়ক আগামী ২০ জুনের মধ্যে মেরামতের নির্দেশনা দেওয়া হবে। একই সাথে নিজ নিজ এলাকার সড়কে যানজটমুক্ত চলাচল নিশ্চিত করতে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হবে এবং ২০ জুনের পরে সকল সিটি কর্পোরেশন এবং ওয়াসাকে মেরামত ও সংস্কার কাজ বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হবে। এছাড়া ঈদের আগে-পরে মোট ১০ দিন সিএনজি স্টেশনগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে। নির্বিঘœ চলাচল নিশ্চিত করতে ঈদের আগের ৭ দিন ও পরের ৩ দিন মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হবে।
তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরে টার্মিনাল ও সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি চুরি, ডাকাতি, পকেটমার, মলমপার্টি ও অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য রোধে সাদা পোশাকে পুলশ মোতায়েন করা হবে।
তিনি বলেন, লক্কর-ঝক্কড় গাড়ি যাতে মহাসড়কে দূরপাল্লায় চলাচল করতে না পারে তা নিশ্চিত করা হবে এবং ফেরি পারাপার নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক যান্ত্রিক ত্রুটিমুক্ত ফেরি চলাচল নিশ্চিত করার পাশাপাশি অতিরিক্ত ফেরি রাখা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঈদে চলাচলের সুবিধার্থে বিআরটিসি রিজার্ভ এবং সিটি সার্ভিসের প্রয়োজন হবে না, এমন গাড়ি দূরপাল্লায় যাত্রী পরিবহন করবে এবং ঈদের আগে ও পরে মোট ৭ দিন ট্রাক, কার্ভাড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ থাকবে।
তিনি বলেন, ঈদে সড়ক, রেল ও নৌপথের আকস্মিক দুর্ঘটনা মোকাবিলার জন্য পূর্বপ্রস্তুতি রাখা হবে। উদ্ধার ও চিকিৎসা সামগ্রী এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি মজুদ রাখা হবে। বড় দুর্ঘটনায় প্রাণহানি এড়াতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে।
বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম ওমরের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভেজাল প্রতিরোধে শিল্প মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ সমন্বিতভাবে কাজ করছে। ফলমূল ও মাছের ফরমালিন প্রতিরোধে বেশ কয়েকটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া আলাদা বেশ কয়েকটি কমিটির মাধ্যমে এসব আইন প্রয়োগ তদারক করা হচ্ছে।
সরকার ন্যাশনাল স্পেশাল ডাটা ইনফ্রাস্ট্রাকচার গড়ে তুলবে : প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ সংবাদদাতা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার দেশের পরিকল্পিত উন্নয়নের লক্ষ্যে জিও ডাটা সংগ্রহ এবং ডিজিটাল ম্যাপিং’র জন্য শিগ্গিরই ন্যাশনাল স্পেশাল ডাটা ইনফ্র্রাস্ট্রাকচার (এনএসডিআই) গড়ে তুলবে। তিনি বলেন, সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, গুরুত্ব বিবেচনা করে শিগ্গিরই এনএসডিআই গঠনে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ‘ন্যাশনাল স্পেশিয়াল ডাটা ইনফ্রাস্ট্রাকচার (এনএসডিআই) ফর বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ভৌগলিক অবস্থান আমাদের এমন গুরুত্ব দিয়েছে, আমরা যদি এর সবটুকু কাজে লাগাতে পারি তাহলে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে যে সেতুবন্ধন রচনা হবে, তা বাংলাদেশই করতে পারবে।
একটি দেশের পরিকল্পিত উন্নয়নে জিও ডাটা এবং তথ্যের প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে ভূমির বিজ্ঞানসম্মত তথ্য-উপাত্ত জানা প্রয়োজন। সারাদেশের জমির গঠন-প্রকৃতি জানা থাকলে আমাদের জমি ব্যবহারের কার্যকর পরিকল্পনা করা সহজ হবে। আর এজন্যই আমরা ন্যাশনাল স্পেশাল ডাটা ইনফ্রাস্ট্রাকচার (এনএসডিআই) গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্তের অপ্রতুলতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশকে সুন্দরভাবে গড়তে পরিকল্পনা দরকার। কিন্তু এজন্য আমাদের তথ্য-উপাত্তের অভাব রয়েছে। আর এজন্যই আমরা ন্যাশনাল স্পেশাল ডাটা ইনফ্রাস্ট্রাকচার গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি। এই অনুষ্ঠান থেকেই প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর দামালকোটে স্থাপিত বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তরের ডিজিটাল ম্যাপিং সেন্টারের উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জাইকার সহযোগিতায় আয়োজিত ‘ন্যাশনাল স্পেশাল ডেটা ইনফ্রাস্ট্রাকচার (এনএসডিআই) ফর বাংলাদেশ’ এই আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন।
শেখ হাসিনা বলেন, আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশ ছোট হলেও বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতি সম্পন্ন এই দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিচ্ছে ব্যবহারযোগ্য জমির স্বল্পতা। একদিকে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষিজমি সংরক্ষণ প্রয়োজন, অন্যদিকে কলকারখানা স্থাপন এবং জনবসতির জন্য জমির প্রয়োজন। পাশাপাশি নদী ভাঙনের ফলে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ জমি হারিয়ে যাচ্ছে।
এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজন ভূমির বিজ্ঞানসম্মত তথ্য-উপাত্ত। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখন সহজেই দেশের ভূ-প্রকৃতির গঠন এবং বৈশিষ্ট্য নির্ণয় করা যাবে।
তিনি বলেন, সারা দেশের জমির গঠন-প্রকৃতি জানা থাকলে জমি ব্যবহারের কার্যকর পরিকল্পনা করা সহজ হবে। কোথায় শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে, কোনো এলাকা কোনো ফসলের জন্য বেশি উপযোগী, কোথায় বছরে ২ ফসল আবার কোথায় ৩/৪ ফসল জন্মানো সম্ভব, তা সহজে জানা যাবে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিচ্ছিন্নভাবে ভূপৃষ্ঠের তথ্য-উপাত্ত তৈরি এবং সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এনএসডিআই গঠন হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এ সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত বিনিময় সহজ হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এনএসডিআই’ গঠনের মাধ্যমে দেশের সমগ্র ভূমির পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। যাতে করে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়। এজন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন, কর্মকৌশল নির্ধারণ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি ‘এনএসডিআই’ গঠনে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এসএসডিআই’ গঠিত হলে দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানসহ স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীগণ অবাধে জিও-স্পেশাল তথ্য প্রবাহে যুক্ত হয়ে অবাধে ডাটা সংগ্রহ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিচ্ছিন্নভাবে ভূপৃষ্ঠের তথ্য-উপাত্ত তৈরি এবং সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে থাকে। ‘এসএসডিআই’ গঠন হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে এ সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত বিনিময় সহজ হবে। এ সকল তথ্য-উপাত্ত প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে তথ্য সংরক্ষণের ব্যাপারে একটি নীতিমালা অনুসরণপূর্বক একই ছাতার নিচে আনা প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এনএসডিআই’র ফলে ডাটা প্রস্তুতে দ্বৈততা পরিহার করাসহ নিখুঁত ও হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত বিনিময় সহজতর হবে, যা দেশের টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি একই ডোমেইন থেকে ডাটা ব্যবহারের ফলে অর্থ ও সময়ের সাশ্রয় হবে। দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম গতিশীল ও ত্বরান্বিত হবে।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিচ্ছিন্নভাবে জিও-স্পেইশল ডাটা প্রস্তুত ও ব্যবহার করছে। ‘এনএসডিআই’ গঠনের মাধ্যমে সকল জিও-স্পেশাল ডাটা একই প্লাটফর্মে জিও-পোর্টালে সংরক্ষিত থাকবে। ফলে জিও-স্পেশাল ডাটা ব্যবহারকারী সকল প্রতিষ্ঠানের চাহিদানুযায়ী ডাটা ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হবে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের সারা দেশে একশ’টি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের প্রসংগ উল্লেখ করে বলেন, সেক্ষেত্রে ও চাষের জমি যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে তাঁকে খেয়াল রাখতে হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জেনে খুশি হয়েছি যে-বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তর উপকূলবর্তী এলাকার ৪৮টি মানচিত্র প্রণয়ন করে দেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সহযোগিতা করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এই অধিদপ্তর বিভিন্ন স্কেলের ডিজিটাল মানচিত্র প্রণয়ন সম্পন্ন করেছে। এছাড়া, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সমগ্র দেশের বৃহৎ স্কেলে ডিজিটাল মানচিত্র প্রণয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যে ৯৮৮টি ম্যাপশিটের মধ্যে ৯০০টি ম্যাপশিট প্রস্তুত সম্পন্ন করেছে বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, এগুলোর পাশাপাশি ডিজিটাল এলিভেশন মডেল (ডিইএম) এবং ডিজিটল টেরেইন মডেল (ডিইএম) প্রস্তুতের কার্যক্রমও চলছে। এ মডেলগুলো বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে তথ্যসেবা কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। ’এনএসডিআই’ গঠিত হলে সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ অগ্রগতি হবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল, বাংলাদেশের জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানবে এবং বাংলাদেশে জাইকা’র চিফ রিপ্রেজেনটেটিভ মিকিও হাতায়দা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। সার্ভেয়ার জেনারেল বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আবুল খায়ের অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।