Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মূসক কমানোর দাবিতে জুয়েলার্স সমিতির ধর্মঘট ৪ জুন

প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ মূসক কমানোর দাবিতে ৪ জুন থেকে সারা দেশে জুয়েলারি দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মূসক না কমালে মানববন্ধনসহ কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।
বাজুস সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক খান বলেন, ২০১৫ সালের ৪ জুন জুয়েলারি পণ্য বিক্রয় মূল্যের ওপর মূসক ৩ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৫ শতাংশ করে। যদিও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে মূসক হার মাত্র ১ শতাংশ। দুবাইয়ে মূসক নেই। মূসক বৃদ্ধির ফলে দেশের স্বর্ণ ক্রেতা ৯০ শতাংশ ধনী এসব দেশ থেকে স্বর্ণ কিনেছে। মূসক বৃদ্ধির কারণে গত এক বছরে জুয়েলারি খাতে কোনো নতুন বিনিয়োগ হয়নি। বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় ৪০টি দোকান। বন্ধের পথে আরও অনেক দোকান।
তিনি বলেন, গত ৫ থেকে ৬ বছর আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণ ও রৌপ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির কারণে এ খাত এমনিতে ক্ষতিগ্রস্ত। তারপর মূসক বৃদ্ধি। ভারত ও দুবাই এর ভিসা সহজলভ্য হওয়ায় ধনীদের অধিকাংশ এ দু’দেশ থেকে স্বর্ণ ক্রয় করে। আর দু’তিন বছর এই মূসক থাকলে এ শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।
মূসক বৃদ্ধির কারণে চিকিৎসা বা ভ্রমণের নামে বিদেশে গিয়ে ধনীরা স্বর্ণ ক্রয় করে। ফলে সরকারের রাজস্ব আদায় একেবারেই কমে গেছে। মূসক দেড় শতাংশ করা হলে মূসক আদায় কয়েকগুণ বেড়ে যাবেÑ জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এ প্রতিশ্রæতি দেন এনামুল হক খান। অর্থমন্ত্রীকে প্রশ্ন করে তিনি বলেন, আপনি এ খাত থেকে যে পরিমাণ মূসক চান তা দিতে আমরা প্রস্তুত আছি। মূসক কমলে যে আদায় কয়েকগুণ বেড়ে যাবে তাও বলছি। বিশ্বাস না হলে আগামী তিন টেস্ট কেইস হিসেবে মূসক ৫ শতাংশ থেকে দেড় শতাংশ কমিয়ে দেখেন। আমাদের সুযোগ দিন, প্রতিশ্রæতির চেয়ে বেশি আদায় হবে।
অর্থমন্ত্রীকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, এ খাত থেকে বর্তমানে ১৫ কোটি টাকার মূসক পান, কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। একই সঙ্গে আগামী অর্থবছর এ খাতে বিক্রয়ের ওপর অযৌক্তিক ১৫ শতাংশ মূসক আরোপ জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা কোনোভাবেই মেনে নেবে না।
মূসক ৫ শতাংশ থেকে দেড় শতাংশ, স্বর্ণ আমদানি শুল্ক ৩ হাজার থেকে দেড়শ টাকা ও এ শিল্পের জন্য একটি টেকসই নীতিমালাসহ তিন দফা দাবি জানান। দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী ৪ জুন থেকে সারাদেশে সব জুয়েলারি দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে দাবি আদায়ে ৫ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে, সারাদেশে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সামনে মানববন্ধনের ঘোষণা দেন এনামুল হক খান। ভরিপ্রতি স্বর্ণ আমদানিতে ৩ হাজার টাকা শুল্কারোপ রয়েছে। গত তিন বছর কোনো স্বর্ণ আমদানি হয়নি। বছরে দু’হাজার কোটি টাকার স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে আসে। গত তিন বছরে স্বর্ণ আমদানিতে কোনো শুল্ক সরকার পায়নি। শুল্ক ৩ হাজার থেকে দেড়শ’ করা হলে চোরাচালান চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বাজুস সভাপতি কাজী সিরাজুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি এমএ ওয়াদুদ, সহ-সভাপতি বর্গা চরণ ও গুলজার আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মূসক কমানোর দাবিতে জুয়েলার্স সমিতির ধর্মঘট ৪ জুন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ