Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পুঁজিবাজারে অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের তাগাদা

প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ পুঁজিবাজারে অতিরিক্ত বিনিয়োগের (ওভার এক্সপোজার) সমন্বয় করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিসহায়তা নেওয়ার জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে তাগাদা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ সুযোগ গ্রহণ করে বা অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয় না করলে ব্যাংকগুলোকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গতকাল ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের এক বৈঠকে এ কথা বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স রুমে এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয় করতে হবে ২১ জুলাইয়ের মধ্যে। বিনিয়োগকারীদের সুবিধার জন্য অতিরিক্ত শেয়ার বিক্রি না করে বিনিয়োগ সমন্বয় করতে নীতি সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন পর্যন্ত চারটি ব্যাংক এ সুবিধা গ্রহণ করেছে। দুটি ব্যাংকের আবেদন পাইপলাইনে আছে। ব্যাংকগুলো হলো এবি ব্যাংক, পূবালী, মার্কেন্টাইল ও মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড। এসকে সুর আরো বলেন, ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী যারা ২১ জুলাইয়ের মধ্যে অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয় করবে না তাদেরকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হবে।
জানা গেছে, পুঁজিবাজারে অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয় করতে ব্যাংকগুলোর শেয়ার বিক্রি না করে এ সমস্যা সমাধানে গত ২ মে নীতি সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে এখন থেকে ব্যাংকগুলোকে আর অতিরিক্ত শেয়ার বিক্রি করে বিনিয়োগ সমন্বয় করতে হবে না বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সহায়তা অনুযায়ী পুঁজিবাজারে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত বিনিয়োগ (ওভার এক্সপোজার) কমিয়ে আনতে ব্যাংকগুলো একক (সলো) ও কনসোলিটেড উভয় পদ্ধতিতে অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয় করতে পারবে। এ সমস্যা সমাধান কেস-টু-কেস ভিত্তিতে করা হবে।
কারণ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, পুঁজিবাজারে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সবার এক্সপোজার সমান নয়। প্রত্যেক ব্যাংককে জানাতে বলা হয়েছে, তাদের কি পরিমাণ সহায়তা লাগবে। তার আলোকেই সমাধান করা হবে।
এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এক্সপোজার ইস্যুতে কোনো সার্কুলার জারি করা হবেনা। কারণ নীতি সহায়তার ব্যাপারে একেকটি ব্যাংকের একেক ধরনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। জানা গেছে, এ পর্যন্ত চারটি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকে তাদের কাগজপত্র পাঠিয়েছে। নীতি সহায়তার আলোকে কোন ব্যাংককেই আর অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্ময়ে শেয়ার বিক্রি করতে হবে না। ব্যাংকগুলোর সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের মূলধন বৃদ্ধির মাধ্যমে তা সমন্নয় করা হবে। নতুন আইন অনুযায়ী ব্যাংকগুলোকে ২১ জুলাইয়ের মধ্যে পুঁজিবাজারে তাদের অতিরিক্ত বিনিয়োগ কমিয়ে ফেলতে হবে। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে সে বিনিয়োগ কমানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ায় সরকার। আইন পরিবর্তন না করে বিনিয়োগ ঠিক রাখতে ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানে মূলধন বাড়িয়ে তা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এজন্য একটি নীতি-সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ব্যাংকের চাহিদা ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোন নীতি সহায়তা বিষয়ক প্রজ্ঞাপণ জারি করবে না। ব্যাংক ভিত্তিক সমস্যা সমাধান করবে।
এজন্য ব্যাংকগুলোকে সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদ ও ব্যাংকের পরিচলনা পরিষদের অনুমতি নিতে হবে। সে অনুমতিসহ প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র পাঠাতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুঁজিবাজারে অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের তাগাদা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ