পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতিটি গুম-খুনের বিচার হবে সেদিন দূরে নয়
স্টাফ রিপোর্টার : রমজানকে সামনে রেখে সরকারের সঙ্গে যুক্ত একটি ‘চক্র’ সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির তরফ থেকে নেতারা বলেছেন, সর্বত্রই গুম-খুন হচ্ছে। কারো জীবনের নিরাপত্তা নেই। কোনোটারই বিচার হচ্ছে না। সব হত্যাকা-ের বিচার একদিন হবেই। সেদিন বেশি দূরে নয়।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এই অভিযোগ করেন।
রাজধানীর হাটখোলায় অভিসার সিনেমা হলের সামনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর বিএনপি আয়োজিত দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণের এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে মির্জা ফখরুল বলেন, এখনো দ্রব্যমূল নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি সরকার। প্রতিদিন দাম বেড়েই চলেছে। মানুষজন দুশ্চিন্তার মধ্যে আছেন, তাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। যারা ক্ষমতায় তাদের সঙ্গে যুক্ত একটি গোষ্ঠী এই দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। মানুষ এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় আছে। জনগণ আজ গণতন্ত্রের জন্য অপেক্ষা করছে। তারা মনে করে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা পাবে। এজন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার ইনশাল্লাহ প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
সকালে খিলগাঁও জোড়া পুকুর মাঠের সামনে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণে আরেক অনুষ্ঠানে মির্জা আব্বাস অভিযোগ করে বলেন, আর মাত্র কয়েকদিনের পর রমজান মাস, এদেশের মুসলমানরা এই মাসটি অত্যন্ত ভক্তিভরে পালন করে থাকেন, তারা একটু স্বস্তি চায়। অথচ এই রমজান শুরুর আগে থেকেই দ্রব্যমূল্যের যে আকাশচুম্বী অবস্থা, যে ঊর্ধ্বগতি, ছোলা, পেঁয়াজ, রসুন, চিনি, চাল, ডালসহ সব জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী। এরজন্য দায়ী কে? দায়ী এই সরকারের অনেক চক্র আছে, তার মধ্যে একটি চক্র। তারা সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে, তাদের পকেট ভারী করছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের কথা উল্লেখ করে সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ আসলেই লুটপাটের পরিস্থিতি তৈরি করে। যেমন একটা কথা আছে, আমি যা বারবার বলিÑউলটপালট করে দে মা, লুটেপুটে খাই। এই লুটেপুটে খাওয়ার জন্য আজ প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে, যার কোনো কারণ নেই। সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী বারবার বলছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা বলতে চাইÑদ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নেই। এদেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে কোনো জিনিসপত্রই নেই। সরকার ক্ষমতায় বসে এই অবস্থার সৃষ্টি করছে। এই সরকারের একটি চক্র সিন্ডিকেট করে জনগণের পকেট থেকে অর্থ হাতিয়ে তাদের পকেট ভারী করেছে। এই অবস্থা যদি চলতে থাকে, তাদের আর সাধারণ ও স্বল্প আয়ের মানুষে বেঁচে থাকার অবস্থা থাকবে না।
বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলার কথা উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ অসংখ্য নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যাতে কেউ যাতে কথা বলতে না পারে। এ থেকে মানুষ বাঁচতে চায়। তাই আমরা একটা পরিবর্তন চাই।
এজন্য চাই, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন, সুষ্ঠু নির্বাচন। ইউনিয়ন পরিষদের যে নির্বাচন হচ্ছে, ক্ষমতাসীনরা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে। পত্র-পত্রিকার এসেছে ১১২ জনের ওপর মানুষ মারা গেছে, যা পৃথিবী ইতিহাসে বিরল।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, প্রতিদিন গুম, খুন-জখম চলছে। এই এলাকায় (খিলগাঁও) ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনিকে ঘাতরা গুলি করে হত্যা করেছে। সারাদেশে একরকম খুনের জবাব একদিন সরকারকে দিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।