পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিবন্ধনের সঙ্গে সঙ্গেই ফের চালু হবে
স্টাফ রিপোর্টার : আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) পদ্ধতিতে সিম পুনর্নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হয়েছে রাত ১২টায়। এর পর থেকেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনিবন্ধিত সিম। তবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে অনিবন্ধিত মোবাইল সিম নিষ্ক্রিয় হলেও তা নিবন্ধন করার সঙ্গে সঙ্গেই তা আবার চালু করতে পারবেন গ্রাহক। বন্ধ হয়ে যাওয়া এসব সিম আবার চালু করতে চাইলে এখন থেকে একজন গ্রাহককে গুণতে হবে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। কোন সিম নিষ্ক্রিয় হওয়ার দিন থেকে ৫৪০ দিনের মধ্যে তা পুনঃনিবন্ধন না করলে ওই গ্রাহক তার সিমের মালিকানা হারাবেন। এরপর সিমের অপারেটর তা অন্য যে কারো কাছে বিক্রি করতে পারবেন। এর আগের নির্দেশনায় নির্ধারিত সময় অর্থাৎ ৩১ মে’র পর অনিবন্ধিত সিম টানা দুই মাস বন্ধ থাকবে বলে বলা হয়। তবে আগের নিয়ম থেকে সরে এসে বিটিআরসি বলছে, নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী নিবন্ধন সম্পন্ন করে বন্ধ হয়ে যাওয়া সিমটি আবার চালু করা যাবে। এ জন্য দুই মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। গত সোমবার বিষয়টি মুঠোফোন অপারেটরদের জানিয়ে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। এদিকে অনিবন্ধিত সিমের সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করার আবেদন জানিয়ে একই দিন আদালতে একটি আবেদন হয়েছে। বাংলাদেশে গ্রাহকের হাতে থাকা প্রায় ১৩ কোটি ২০ লাখ সিমের মধ্যে গত সোমবার পর্যন্ত ১০ কোটি ৪৮ লাখ সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছে। এ হিসাবে গ্রাহকের হাতে থাকা তিন কোটির বেশি সিম এখনও অনিবন্ধিত রয়েছে।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এই সিমগুলো যাদের হাতে রয়েছে, তারা নিবন্ধন না করলে, এসব সিম নিষ্ক্রিয় হলেও তা সচল করার সুযোগ পাচ্ছেন তারা। বিটিআরসি এবং ডাক ও টেলিযোগাযাগ বিভাগ থেকে আগে ঘোষণা ছিল, অনিন্ধিত সিম বন্ধ হয়ে গেলে তা টানা দুই মাস বন্ধ থাকবে। এ সময় সিম উঠানো যাবে না বা কেনা যাবে না। দুই মাস পর সেই সিম কিনে নিতে হবে গ্রাহককে। সোমবার রাতে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন কার্যক্রমে অনিবন্ধিত সিম বা রিম চালু করার চারটি বিষয় উল্লেখ করে অপারেটরদের নতুন নির্দেশনাটি পাঠায় বিটিআরসি। বিটিআরসি সিস্টেমস এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জুলফিকার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এক জুন শূন্য ঘণ্টা থেকে অনিবন্ধিত সব সিম বন্ধ হয়ে যাবে। তবে ৩১ মে’র পর অনিবন্ধিত সিম নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার দিন থেকে পরবর্তী ৪৫০ দিনের মধ্যে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করে সংযোগ পুনরায় চালু করতে পারবেন গ্রাহকরা।
বিটিআরসির নিয়ম অনুযায়ী, একটি সিম একটানা ১৮ মাস বা ৫৪০ দিন বন্ধ থাকলে সেটির মালিকানা গ্রাহকের থাকে না। এর মধ্যে ১৫ মাস বা ৪৫০ দিন সময় পার হলে মুঠোফোন অপারেটররা একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিষ্ক্রিয় সংযোগটি পরের ৯০ দিনের মধ্যে চালু করার জন্য গ্রাহককে অনুরোধ করে। এভাবে মোট ১৮ মাস সময়ে সিমটি চালু করা না হলে সেটির মালিকানা বর্তমান ব্যবহারকারীর থাকে না। আজ থেকে বন্ধ হতে যাওয়া সংযোগের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। বর্তমানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নতুন সংযোগ কিনতে অপারেটর ভেদে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দাম রাখা হয়। এর মধ্যে সরকার সিম কর হিসেবে ১০০ টাকা পায়। বাকি অর্থ সিমের মূল্য হিসেবে অপারেটররা পেয়ে থাকে।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের শেষ সময় ৩১ মে ‘জিরো আওয়ার’ এর পর অনিবন্ধিত সিম বন্ধ করার কারিগরি প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে মোবাইল ফোন অপারেটররা। তারা জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের পর অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন সিম বন্ধে কারিগরি প্রক্রিয়ায় দুই দিনের বেশি সময় লাগতে পারে। গত ১৬ ডিসেম্বর বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ার পর আঙুলের ছাপ না দিয়ে নতুন সিম কেনা যাচ্ছে না। পাশাপাশি চলছে পুরনো সিমের পুনঃনিবন্ধন। অপরাধ কাজে ব্যবহার বন্ধে সিম নিবন্ধনের এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।